বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ বন্ধু, ভোলার প্রাণহানি দুর্ঘটনা: বিএনপি নেতা

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২২ ২০:৩৪

মোজাফফর রহমান আলম বলেন, ‘ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশ গুলি চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যা করার বিষয়টি একটি দুর্ঘটনা। পুলিশ জনগণের বন্ধু, ইতিপূর্বে কখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটে নাই। আমি মনে করি ভোলার ঘটনা একটি দুর্ঘটনা। আমি আশা করি, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কখনই দূরত্ব সৃষ্টি হবে না।’

পুলিশকে জনগণের বন্ধু অ্যাখ্যা দিয়ে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ও ছাত্রদল নেতার প্রাণহানির ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মনে করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলম। প্রবীণ এই নেতা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব।

গত ৩১ জুলাই লোডশেডিং ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সংঘর্ষে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম এবং আহতের কয়েক দিন পর ৩ আগস্ট মারা যান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২ আগস্ট বিক্ষোভ আয়োজন করে বাগেরহাট বিএনপির একাংশ। বিকেল ৪টার দিকে বাগেরহাট শহরের সুরুইস্থ বিএনপির কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম।

তিনি বলেন, ‘ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশ গুলি চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যা করার বিষয়টি একটি দুর্ঘটনা। পুলিশ জনগণের বন্ধু, ইতিপূর্বে কখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটে নাই। আমি মনে করি ভোলার ঘটনা একটি দুর্ঘটনা। আমি আশা করি, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কখনই দূরত্ব সৃষ্টি হবে না।’

এমন বক্তব্যের পর সেটি অনেকটা ছড়িয়ে পড়ে বিএনপি নেতাদের মুখে মুখে। অবশ্য বিক্ষোভে উপস্থিত কেউ বিএনপি নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাননি।

বিক্ষোভের এক দিন পর তার বক্তব্য শুনতে পায় জেলা বিএনপির অপরাংশ। তারা তখন বিষয়টি নিয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মোজাফফর রহমান আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

পাশাপাশি সে সময় যেসব নেতা ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন তাদেরকেও বহিষ্কার ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

এসব দাবিতে সোমবার এক বিবৃতি দিয়েছে জেলা বিএনপি।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সৈয়দ নাসির আহম্মেদ মালেক, সরদার অহিদুল ইসলাম পল্টু, ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সরদার লিয়াকত আলীসহ জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

অবশ্য মোজাফফর রহমান আলম বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে কোন্দলে বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন দুই ভাগে বিভক্ত। বক্তব্য দেয়ার সময় মুখ ফসকে একটা কথা বের হয়ে গেছে। সেটাকে টার্গেট করে বিএনপির অপর অংশের নেতাকর্মীরা অহেতুক মিথ্যাচার করছে।’

তার দাবি, ‘আমাকে আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে ফেলছে তারা। অথচ ভোলার ঘটনায় তো আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পেরেছি, তারা তো সেটাও করতে পারেনি। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে বিএনপি করছি। দলের সুদিনে ছিলাম, দুর্দিনেও আছি, আগামীতেও দলের সঙ্গে থাকব।’

বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোড়া বলেন, ‘প্রথম দিকে আমরা লোকমুখে তার বক্তব্যের কথা শুনেছি। কিন্তু ভিডিও পেয়েছি দুদিন পরে। ভিডিও যাচাই-বাছাই ও সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি আমরা বিএনপির মহাসচিবকে জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।’

বিএনপির এই নেতাও দাবি করেন তারা ভোলার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন। বলেন, ‘মোজাফফর রহমান আলম যে অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয়। আমরাও ভোলার ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর