চট্টগ্রামে নির্বিচারে পাহাড় কেটে তৈরি করা ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাহাড় কাটা ও সেখানে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পাহাড় কেটে এসব স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে একাধিক রুল জারি করেছে আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার বিচাপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটকারী মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। রুলে চট্টগ্রামের পাহাড়ে ঘর-বাড়ি নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
‘একইসঙ্গে পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।’
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বন ও পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কেউ যাতে আর পাহাড় না কাটতে পারে সেজন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করতে বলেছে আদালত।
গত ২৬ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘চট্টগ্রামে পাহাড়ে লোভের কোপ: পাহাড় কেটে প্লট, উঠছে দালান’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ১ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করে এইচআরপিবি।