জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাস ভাড়া সমন্বয় করে সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, তাতে সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়ানো হয়নি। আগের মতোই ১০ টাকাই রাখা হয়েছে এই ভাড়া। ফলে স্বল্প দূরত্বে যাত্রীর খরচ বাড়বে না।
গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানোর পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে বাস ভাড়া কিলোমিটারে ৩৫ পয়সা আর দূরপাল্লায় বাড়ানো হয় ৪০ পয়সা।
শনিবার রাতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানায় বিআরটিএ।
গত নভেম্বরে তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর ঢাকায় কিলোমিটার প্রতি ৫৫ পয়সা আর দূরপাল্লায় বাড়ানো হয় ৩৮ পয়সা। সে সময় সর্বনিম্ন ভাড়া মহানগরে ১০ টাকা আর দূরপাল্লায় ঠিক করা হয় ৮ টাকা।
এবার বিআরটিএ মহানগরে বাস ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৩৫ পয়সা আর দূরপাল্লায় বাড়াল ৪০ পয়সা।
রোববার এই সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। এতে জানানো হয়, ৫২ আসনে দূরপাল্লায় বাসভাড়া কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ২০ পয়সা এবং এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে কিলোমিটার প্রতি হবে ২ টাকা ৫০ পয়সা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী মিনিবাস এবং ঢাকা পরবিহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর আওতাধীন জেলা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলায় চলাচলকারী বাসের ভাড়া হবে কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ৪০ পয়সা।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ থাকে, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া যথাক্রমে ১০ টাকা এবং ৮ টাকা ধার্য করা হয়েছে।’
বিআরটিএ যে বাস ভাড়া নির্ধারণ করে, তাতে আসলে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। বাস ভাড়া ঠিক করা হয় ৫২ আসনের হিসাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আসনসংখ্যা কমিয়ে আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বাস/মিনিবাসের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করা হলে আনুপাতিকভাবে ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে।
অর্থাৎ ৫২ আসনের বাসে আসনসংখ্যা ১০টি কমালে ভাড়া বাড়বে ২০ শতাংশ।
এ ক্ষেত্রে রুট পারমিট অনুমোদনকরী কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)/যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি থেকে আনুপাতিকভাবে ভাড়ার হার অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
নতুন বাস ভাড়া গ্যাসচালিত মোটরযানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভাড়ার হার প্রতিটি বাস ও মিনিবাসের দৃশ্যমান স্থানে আবশ্যিকভাবে টাঙিয়ে রাখতে হবে।