বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রাকে তেলের সিলিন্ডারে ছিল দুই লাখ ইয়াবা

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২২ ১৪:০২

ট্রাকের মালিক সোহেলের নেতৃত্বে ৪-৫ বছর ধরে চক্রটি পরিবহন ব্যবসার আড়ালে টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছিল। চক্রটি পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও সহকারীকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের গাড়িতে ইয়াবা ট্যাবলেট পরিবহনের জন্য প্রলুব্ধ করত। এই চক্রে ৭-৮ জন সদস্য রয়েছে।

ট্রাকে তেল রাখার সিলিন্ডারে গোপন খোপ বানিয়ে এতে লুকানো ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা। টেকনাফ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো নেয়া হচ্ছিল গাজীপুরে।

পথিমধ্যে শনিবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।

আটক তিনজন হলেন-মো. আমিনুল ইসলাম, মো. নুরুল ইসলাম ও মো. হেদায়েত উল্লাহ। তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও মাদক বিক্রির নগদ ৩১ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বাহিনীটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, চক্রটি টেকনাফ থেকে ইয়াবা রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত।

ট্রাকের মালিক সোহেলের নেতৃত্বে ৪-৫ বছর ধরে চক্রটি পরিবহন ব্যবসার আড়ালে টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছিল। চক্রটি পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও সহকারীকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের গাড়িতে ইয়াবা ট্যাবলেট পরিবহনের জন্য প্রলুব্ধ করত। এই চক্রে ৭-৮ জন সদস্য রয়েছে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ট্রাকমালিক সোহেল ও আমিনুল টেকনাফের সিন্ডিকেট থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করেন। ইয়াবা সংগ্রহের পর সোহেলের নির্দেশনায় আমিনুল দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন।

আটক তিনজনের বরাত দিয়ে খন্দকার আল মঈন জানান, চকরিয়ায় একটি গ্যারেজে বিশেষ পদ্ধতিতে গাড়ির তেলের সিলিন্ডারের মধ্যে গোপন খোপ তৈরি করে তার মধ্যে ইয়াবা লুকিয়ে পরিবহন করা হয়। এভাবে অভিনব কায়দায় তেলের ট্যাংকে ইয়াবা রাখার পর সোহেল, আমিনুল ও নুরুল ইসলাম প্রথমে ট্রাক নিয়ে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করে। চট্টগ্রাম আসার পর সোহেল গাড়ি থেকে নেমে যায়। এরপর আমিনুল, নুরুল ইসলাম ও হেদায়েতকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা করে। পথিমধ্যে তারা সীতাকুন্ড ও কুমিল্লায় যাত্রাবিরতি করে।

আটকদের বরাতে র‌্যাব জানায়, ইয়াবার চালানটি তারা গাজীপুরে সরবরাহের উদ্দেশে যাত্রা করে। তাদের ট্রাকে অন্য কোনো মালামাল ছিল না। পথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন চেকপোস্টে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায়, গাজীপুর থেকে মালামাল লোড করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসার জন্য তারা খালি ট্রাক নিয়ে গাজীপুর যাচ্ছে। ট্রাকের তেলের ট্যাংকে ইয়াবাগুলো লুকিয়ে রাখায় তারা নিশ্চিত ছিল যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশিতে ইয়াবার সন্ধান পাওয়া যাবে না।

র‌্যাব জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের উদ্দেশ্যে পাশের দেশ থেকে ইয়াবা টেকনাফের ডিলারের কাছে আসে। টেকনাফের ডিলার ও ঢাকার ডিলারের পরিকল্পনামতো ইয়াবা বিভিন্ন সংখ্যায় চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে বিশেষ কোড নাম্বার দিয়ে প্যাকেটজাত করে থাকে। এই কোড নাম্বার দেখেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের ডিলাররা বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে চাহিদা অনুযায়ী চালান পৌঁছে দেয়।

র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কিছু কোড নাম্বার পেয়েছি। এ ছাড়া গাজীপুরের তিনটি সিন্ডিকেটের তথ্য পাওয়া গেছে। ট্রাকমালিক সোহেল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। তাকে পাওয়া গেলে টেকনাফে যে চক্র রয়েছে তাদের সন্ধান পাওয়া যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর