বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাকাতি-ধর্ষণ রোধে বাসে ‘প্যানিক বাটন’ চায় পুলিশ

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:২৯

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজধানী ও মহাসড়কের বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ রোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যে কোনো ডাকাতির ঘটনাকে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। টাঙ্গাইলে ঘটনায় সেখানকার পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ডাকাতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’

মহাসড়কের পাশাপাশি রাজধানীতে চলাচল করা বাসে ‘প্যানিক বাটন’ যোগ করা হলে ডাকাতি-ধর্ষণের মতো ঘটনা প্রতিরোধ সহজ হবে বলে মনে করে পুলিশ। কিন্তু এ বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হলেও বাস মালিকরা তা করছেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান। আসন্ন আশুরার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পুরান ঢাকার হোসনি দালানে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের বিষয় নিয়ে সেখানে ডিএমপি কমিশনারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজধানী ও মহাসড়কের বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ রোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যে কোনো ডাকাতির ঘটনাকে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। টাঙ্গাইলে ঘটনায় সেখানকার পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ডাকাতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।

‘রাজধানীতেও অনেক সময় বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সে সব অপরাধ প্রতিরোধে আমরা বাসে প্যানিক বাটন বসাতে বলেছি মালিকদের। ব্যয় ও ব্যবস্থাপনার অজুহাতে অনেকে তা করছেন না।’

ডাকাতি প্রতিরোধের ব্যবস্থা হিসেবে তিনি বলেন, ‘মহাসড়ক এবং ঢাকায় এতো বেশি পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে যে সব যানবাহন থামিয়ে চেক করা অসম্ভব একটি কাজ।

‘মহাসড়কে আগে বেশি বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটতো। ডাকাতি রোধে আগে বাসের স্টার্টিং পয়েন্ট ও বিভিন্ন কাউন্টারে ছবি তুলে রাখার ব্যবস্থা ছিল, সেটি এখনও চলছে।

‘আশুলিয়া, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় আমাদের বোনেরা গার্মেন্টসে কাজ শেষে রাতের বেলায় যাতায়াত করেন। এসব এলাকায় চলমান বাসের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্যানিক বাটন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ঢাকার কিছু বাসে প্যানিক বাটন স্থাপন করা গেলেও বাইরে অগ্রগতি নেই।’

ডিএমপি কমিশনার জানান, ডাকাতির ঘটনায় প্যানিক বাটনের সুফল পাওয়া যায়। কারণ বাটনটি ড্রাইভারের হাতের কাছে থাকে, কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটলে ড্রাইভার প্যানিক বাটনে চাপলেই পুলিশের কাছে তথ্য চলে যায়।

অন্যদিকে বাসে একা পেয়ে নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানিতে ড্রাইভার-হেলপাররা যুক্ত থাকে। তখন অবশ্য প্যানিক বাটনের সুফল মিলবে না। যেসব এলাকায় নারী যাত্রী বেশি সেসব এলাকার বাসের ড্রাইভার ও হেলপারের ছবিসহ বৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

প্রতিবেশি দেশ ভারতসহ বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে প্যানিক বাটন আছে। চালকদের পাশাপাশি যাত্রী আসনের পাশেও প্যানিক বাটন স্থাপন করা হয় নিরাপত্তার জন্য।

এ বিভাগের আরো খবর