লক্ষ্মীপুরের সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার দিঘলীর রমাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ সুপার এএইচএম কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম হোসেন আহমদ। আহতদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন নিহত হোসেনের ভাই আমির হোসেন, তার ভাগিনা মনির হোসেন, আমিরের দুই ছেলে আকরাম হোসেন ও নাজমুল ইসলাম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, দীর্ঘদিন ধরে রমাপুর এলাকার আবদুস সাত্তার ও ইউনুছ মিয়ার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তারা মারা গেলেও বিরোধ চলে আসছিল তাদের সন্তানদের মধ্যে। এর জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ইউনুছের ছেলে সাইদুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন লোক সাত্তারের ঘরে ঢুকে দরজা-জানালা লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে মিলনসহ তার লোকজন ৬ জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।
তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার সময় হোসেনের মৃত্যু হয়। বাকিদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হোসেন আহমদ হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আহত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
‘তাদের প্রত্যেকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে তাদের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
এ দিকে ঘটনার পর রমাপুর থেকে তিনজনকে আটকের কথা জানিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন। তবে, তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।