বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থপাচার মামলা: ফের পেছাল বরকত-রুবেলের অভিযোগ গঠনের শুনানি

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২২ ১৩:১৮

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের জন্য নতুন এ দিন ঠিক করেন।

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অবশিষ্ট অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঠিক করেছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত নতুন এ দিন ঠিক করে।

এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের জন্য নতুন এ দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত ৭ মার্চ আসামিদের নির্দোষ দাবি করে আইনজীবী শাহিনুর রহমান অব্যাহতির আবেদন করেন। এরপর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। তবে তা শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আদালত দিন ঠিক করে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আসিকুর রহমান ফারহান, খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, এ এইচ এম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

২০২১ সালের ৩ মার্চ বরকত, রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) উত্তম কুমার বিশ্বাস। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করে।

২০২০ সালের ২৬ জুন অর্থপাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ। মামলায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২ হাজার কোটি টাকা উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া তারা মাদক কারবার ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ডাম্প ট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন দুই ভাই।

অভিযোগে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন বরকত-রুবেল। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালে এক আইনজীবী হত্যা মামলারও আসামি ছিলেন তারা।

এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বরকত ও রুবেল অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর