বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোলার ঘটনায় গায়েবানা জানাজা, বিক্ষোভ করবে বিএনপি

  •    
  • ৩১ জুলাই, ২০২২ ২১:৫৮

সোমবার সারা দেশে জেলা পর্যায়ে গায়েবানা জানাজা হবে। ঢাকায় হবে বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। আর মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে শুধু বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

ভোলায় বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নিহতের ঘটনায় দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

দলটি সোমবার সারা দেশে গায়েবানা জানাজা পড়বে, আর মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।

রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রোববার সন্ধ্যায় এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভোলায় বিক্ষোভে পুলিশ অতর্কিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুল রহিম নিহত হয়। দলের অনেকে আহত হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর প্রতিবাদে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’

সোমবার সারা দেশে জেলা পর্যায়ে গায়েবানা জানাজা হবে। ঢাকায় হবে বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। আর মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে শুধু বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশি হামলা ও গুলির ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে। তাদের যে হীন লক্ষ্য যেটা একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা, বিনা ভোটে সরকার গঠন করা এবং জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো পদদলিত করা সেটা প্রস্ফুটিত হয়েছে।’

সরকার পতনের আন্দোন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের পরিবর্তনের আন্দোলন বা কর্মসূচি কি না এটা মূল কথা নয়। মূল কথা হচ্ছে, এটা একটা হত্যা হয়েছে। গুলি করে হত্যা করা গত কয়েক বছরে বেড়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটা বড় ঘটনা।’

কর্মসূচি ঘোষণার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ প্রথম হামলা করে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। তাদের দাবি, কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই পুলিশ হামলা ও গুলি চালায়।

পরে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।

অন্যদিকে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার বলেন, ‘সমাবেশ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু সমাবেশ শেষে মিছিল করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে পড়ে। পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ শেষে গুলি চালায়। এতে ১০ পুলিশ এবং বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আহত হয়। একজন মারাও যায়।’

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

এ বিভাগের আরো খবর