বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ সমাবেশের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে পুলিশের ৫ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটকের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কালিনাথ রায় বাজার এলাকায় রোববার বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা সদর রোড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বিএনপির কর্মীরা ইট-পাটকেল ছোড়েন। বিপরীতে পুলিশ সদস্যদের টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে দেখা যায়।
নিউজবাংলাকে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সর্দার। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।’
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন কবির শোপান জানান, সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম নামে তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, 'বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় লোডশেডিং ও জ্বালানি তেলের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। বিক্ষোভ শেষে একটি মিছিল হওয়ার কথা ছিল।
‘সেখানে পুলিশ তাদের মতো দায়িত্ব পালন করেছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সমাবেশ শেষে আমাদের মিছিল করার কথা আগে থেকেই বলা ছিল। কিন্তু সমাবেশ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে।’
তবে ভোলা সদর থানার ডিউটি অফিসার কবির হোসেন বলেন, 'বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা করা হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।'
ভোলা সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক নাফিজা কামাল বলেন, ‘বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।’