দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পেতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরির বিকল্প নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, নেতার সঙ্গে কর্মীর এবং কর্মীর সঙ্গে জনগণের সেতু নির্মাণ করে নৌকার প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত বিমানবন্দর থানার বিভিন্ন ইউনিট ও ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শুক্রবার বিকেলে নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য রাজনীতি করে না, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আর বেশিদিন নেই, তাই এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নেতার সঙ্গে কর্মীর এবং কর্মীর সঙ্গে জনগণের সেতু নির্মাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হতে হবে।’
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে, তাহলে আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা বিদ্যুতের পরিবর্তে খাম্বা দিয়েছিল তাদের মুখে বিদ্যুতের কথা মানায় না।’
সংখ্যালঘু নির্যাতনের রেকর্ড এদেশে একমাত্র বিএনপির বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা, নির্যাতন চালিয়েছিল তার নজির আর নেই।’
বর্তমান সরকারের শাসনামলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদ নয় বলে বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, বানরে সংগীত গায়, শিলা জলে ভাসে।’
প্রতিদিন কোনো না কোনো বিষয়ে মিথ্যাচার বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই নেতা। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেশের জন্য কী উন্নয়ন করেছেন, যা থেকে জনগণের কাছে ভোট চাইবেন?’
তিনি বলেন, ‘মানুষ উন্নয়ন ও কাজ চায়। শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও কাজ করে যাচ্ছে। তাই জনগণ শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আর বিএনপির মন খারাপ।’
উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ অন্য নেতারা।