নির্বাচন কমিশন (ইসি) খুব বেশি কথা বলছে অভিযোগ তুলে কমিশনকে যে কদিন আছে চুপচাপ বসে চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘এই যে নির্বাচন কমিশন রয়েছে, সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক কথা বলে। যার কাজ সে করবে। নির্বাচন কমিশন এত কথা বলেন কেন? কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না তাতে কিছু আসে যায় না, এই কথা বলার আপনি কে? হু আর ইউ?’
ইসিকে উদ্দেশ তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক মীমাংসা হবে রাজনৈতিকভাবে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন। সরকার চিন্তা করবে কীভাবে জনগণের সঙ্গে তারা মীমাংসা করবে, কীভাবে জনগণের ভোটাধিকার ফেরত দেবে। এটার দায়িত্ব ঠুঁটো জগন্নাথ নির্বাচন কমিশনের নয়।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে এই নির্বাচন কমিশনকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আগামী নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে বলে কি আহ্লাদে আটখানা হয়ে আছেন? হাসিনা যখন থাকবে না, তখন তো আপনাদের তাড়াতে হবে। খুঁজেই তো পাওয়া যাবে না। যে কয়েক দিন আছেন, চুপচাপ বসে থাকেন, চা-টা খান। গণতন্ত্রের সবক দেয়ার অধিকার সাংবিধানিক পদে থেকে আপনাদের কেউ দেয়নি।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, বিএনপি শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী অজান্তেই চা খাওয়ার কথা বলেছেন
সভায় গয়েশ্বর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার বাড়ি ঘেরাও করতে গেলে চা দিয়ে আমন্ত্রণ করবেন। আপনার বাড়ি যদি কেউ ঘেরাও করতে যায়, যত পানির দরকার হবে সেই চায়ের পানি আছে তো? নাই।
‘তারা আপনার চায়ের দাওয়াতে হয়তো যাবে না; যদি দেশের জনগণ গণভবন ঘেরাও করতে যায়, জিনিসপত্র গুছিয়ে গাড়িতে তুলে দিয়ে আপনাকে বিদায় জানাতে যেতে পারে। আপনি ক্ষমতা ছেড়ে না গেলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। হয়তো আপনি মনের অজান্তে চা খাওয়ার কথাটা বলছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বললেন, খালেদা জিয়াকে টুস করে পানিতে ফেলে দেয়া এটা একান্তই হিউমার। অর্থাৎ শেখ হাসিনা ঠাট্টাও জানে। ঠাট্টা খালেদা জিয়ার সাথে করেন। কিন্তু জাতির সামনে যে ঠাট্টা ১৪ বছর যাবৎ করছেন, এটার হিসাব জনগণ একদিন নিতেই পারে।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার প্রমুখ।