ইভিএমে ভোট দেখা নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতার ভিডিও ভাইরালের পর এবার এমপির ছেলের ভোট কেনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
২৪ ঘন্টার মধ্যে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামীলীগের দুইজন নেতার বক্তব্যে ভীত অন্যান্য প্রার্থী ও সাধারণ ভোটাররা।সাবেক চীপ হুইপ বাউফল আসনের এমপি আসম ফিরোজ এর ছেলে রায়হান সাকিবের এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।রোববার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বড়ডালিমা এলাকায় একটি পথসভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ছাত্রলীগের ভাই-বোনেরা আছো না এখানে? ভোট রক্ষা কমিটি হইছে? তোমরা প্রত্যেকে বাড়ি বাড়ি যাইয়া মা-চাচীদের নিয়ে আসবা। নৌকায় ভোটটা দিয়া আসবা।’
নিজেকে দেখিয়ে বলেন, ‘নেওয়া-আনার খরচ নৌকার। তবে ভোট যেনো কোনোটা মিস না হয়। এইডা মনে রাখবেন। আমরা আসছি, আমাকে আমার বাবা নির্দেশনা দিয়েছেন।’
এই ৭, ৮, ৯ এ (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) আগামীকাল (সোমবার) এবং আজকে (রোববার) আপনাদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া সব কিছু করতে এবং এখানেই থাকতে বলছে। তার মানে কত বড় গুরু দায়িত্ব দিছে আমাকে। এই ইউনিয়নে রেকর্ড সংখ্যক ভোট দিয়ে আনার ব্যাপারে ভুমিকা থাকতে হবে। এটা আমাকে নির্দেশনা দিয়েছে, আমাকে পালন করতে হবে। আমার ইজ্জত, আপনাদের ইজ্জত; আপনাদের ইজ্জত, নেতার ইজ্জত।’এ ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন।এ ব্যপারে রায়হান বলেন, ‘ওটা একটা পথসভা ছিল। আমি ওভাবে বলিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আসার কথা বলেছি, তাঁদের খরচের কথা বলেছি।’জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বলেন, ‘সুষ্ঠ ভোট গ্রহণের স্বার্থে সব ধরণের আয়োজন থাকবে। আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে যাঁরা বক্তব্য দিয়েছেন তাঁদের ব্যপারে নির্বাচন কমিশনে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি কম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শনিবার এক উঠান বৈঠকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের এক সমর্থক ‘ভোট হবে ইভিএমে, কে কোথায় ভোট দেবে তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই’ বলে বক্তব্য দেন।
আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়দুল হক রাসেলের বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেই সময় তার পাশেই বসে ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক।
ইসির চিঠিতে বলা হয়, বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শূন্য পদের উপনির্বাচনে প্রচারের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের বিষয়ে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এসএম মহসীন একাধিকবার রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন।