যশোরের অভয়নগরে ভ্যানে করে মাধ্যমিক স্তরের সরকারি বই নিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে যশোর-খুলনা মহাসড়কসংলগ্ন এলবি টাওয়ারের সামনে থেকে রোববার রাত প্রায় ৯টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক ৫০ বছরের বাবুল খানের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগপুর থানার সলিমাবাদ গ্রামে।
জব্দ করা ৩১৮টি বইয়ের মধ্যে রয়েছে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির ২৫টি উচ্চতর গণিত, একই শ্রেণির ৭৪টি ভূগোল ও পরিবেশ, ৩৯টি বিজ্ঞান, ২৫টি রসায়ন, ২৯টি বাংলা সাহিত্য, ২৫টি পদার্থবিজ্ঞান, ১৪টি বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসাহিত্য, ৩৫টি গণিত এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫২টি চারুপাঠ বই।
আটক বাবুলের ভাষ্য, বিভিন্ন কোম্পানির বই সরবরাহের কাজ করেন তিনি। রোববার সন্ধ্যায় অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক খালিদ হোসেন তাকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আসতে বলেন। যথাসময়ে তিনি অফিসে এলে খালিদ তাকে একটি ভ্যান আনতে বলেন। পরে ভাড়া করা ভ্যানে করে বইগুলো যশোর জেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছে দিতে বলেন।
রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বইগুলো নিয়ে নওয়াপাড়া বাজারে এলবি টাওয়ারের সামনে এলে ভ্যানসহ তাকে আটকে অভয়নগর থানা পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
বই পাচারের বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন বাবুল।
তবে বই পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক খালিদ হোসেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বাবুল খান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তবে তার কাছে পাওয়া বইগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নয়।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘জেলা শিক্ষা অফিসে বই পাঠানোর কোনো নির্দেশনা নেই। অফিস ছুটির পর যদি কিছু ঘটে থাকে, তা না জেনে বলা মুশকিল।’
অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘ভ্যানভর্তি ৩১৮টি নতুন বই উদ্ধার করা হয়েছে। বই পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা আখতার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জব্দ করা বই থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’