রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন এবং টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা আগামী ৩১ জুলাই জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রেলওয়ের তিন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে তির্যক মন্তব্য করেন।
রেলওয়ের তিন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলে, ‘রেলে এত অব্যবস্থাপনা কেন থাকবে? কেন টিকিট কালোবাজারি হবে? কেন মানুষ ট্রেনের ছাদে যাবে? আপনারা কি রেলকে গ্রাস করতে চাইছেন? এ অবস্থা চলতে পারে না।’
রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির আন্দোলনের বিষয়ে জানাতে বুধবার দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে বলে আদালত। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, রনির ছয় দফা দাবি অনুযায়ী কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তখন আদালত এ মন্তব্য করে।
রেলের ছাদে যাত্রী তোলা নিষেধ থাকার পরও কেন যাত্রী ওঠে, সেটি কেন বন্ধ হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন করে হাইকোর্ট।
আদলত বলে, ‘রেল জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করার জন্য আপনাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আপনারা সে দায়িত্ব পালন করছেন না।’
জুন মাসে রেলের টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার পর গত ৭ জুলাই থেকে ওই শিক্ষার্থী ছয়টি দাবিতে কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান শুরু করেন।