ঈদ উদযাপন শেষে বাড়ি থেকে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। তবে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢাকামুখী মানুষের এখনও তেমন চাপ নেই। যাত্রীচাপ শুক্রবার বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
ফিরতি যাত্রীরা জানান, ট্রেনগুলোতে এখনও যাত্রীদের গাদাগাদি নেই। ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে করে রাজধানীতে ফিরেছেন তারা। মোটামুটি সঠিক সময়েই গন্তব্য থেকে ঢাকায় ফিরতে পেরেছেন তারা।
এদিকে ঈদের পরে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে। তারা জানান, ঈদের সময় যাত্রীচাপ থাকায় তখন পরিবারের কাছে ফিরতে পারেননি। তাই এখন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত মোট ১৩টি ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছে। এ ১৩টিই তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।’
আজ মোট ৩৯ জোড়া ট্রেন ঢাকা ছাড়বে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ফিরতি মানুষের চাপ শুক্রবার বাড়বে।’
কিশোরগঞ্জ থেকে এগারো সিন্দুর ট্রেনে ঢাকায় ফিরেছেন মাহমুদ হাসান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার থেকে আমার অফিস শুরু। তাই একটু আগেই ঢাকায় আসলাম।’
গোলান মোস্তফা থাকেন ঢাকার শাহবাগে। তার দেশের বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর। একতা এক্সপ্রেসে করে দিনাজপুর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে ফেরেন তিনি৷ নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় ট্রেন ছেড়েছে। সকাল পৌনে ১০টায় কমলাপুরে নামলাম। কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। ভালমত পৌঁছাতে পেরেছি।’
লাকি আক্তার চাকরি করেন ঢাকায়। একতা এক্সপ্রেসে দিনাজপুর থেকে কমলাপুরে ফিরলেন তিনি। ট্রেনে যাত্রী কেমন ছিল জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাত্রী স্বাভাবিক মতোই ছিল। যাত্রীদের গাদাগাদি ছিল না। ফেরার সময় ভোগান্তি হবে না।’
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যাওয়ার সময় ছুটি ছিল দুই দিন। দুই দিনের মধ্যে গার্মেন্টস থেকে শুরু করে সব একসঙ্গে যাত্রা করায় ট্রেনে চাপ বেড়েছিল। যার জন্য যাত্রীদের ভোগান্তিও হয়েছে। কিন্তু আসার সময় ১২ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন ঢাকায় ফেরার সময় পাচ্ছি আমরা। এ কারণে মনে হয় প্রত্যেকটা ট্রেনে একটু চাপ কম।’
অন্যদিকে যারা এখন ঈদের পরে দেশের বাড়িতে যাচ্ছেন তাদের একটি বড় অংশ জানাচ্ছেন, ঈদের আগে যাত্রী চাপ বেশি থাকায় তারা এখন যাচ্ছেন। অনেকে আবার দেশের বাড়ি ছাড়াও ঢাকার বাইরে বেড়াতে যাচ্ছেন।
মাহবুব ইসলাম যাবেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে এখন দেশের বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, ছোট বাচ্চা থাকায় ঈদের সময় চাপে বাড়ি যাননি তিনি। এখন চাপ কমায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।
সাদিয়া ইসলাম থাকেন মোহম্মদপুরে। লেখাপড়া করেন। মায়ের সঙ্গে যাবেন গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঢাকায় ঈদ করি। ঈদের পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি।’