খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত জীবন ত্রিপুরা সংগঠনটির প্রসীত গ্রুপের দীঘিনালা উপজেলা সংগঠক ছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, দীঘিনালার বাবুছড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু গ্রুপের গুলিতে জীবন নিহত হন।
ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক ই-মেইল বার্তায় মঙ্গলবার এ অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৯টার দিকে ইউপিডিএফ দীঘিনালা ইউনিটের সংগঠক জীবন ত্রিপুরা সাংগঠনিক কাজে বাবুছড়া যাচ্ছিলেন। এ সময় ধনপাতা নামক এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকা জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।’
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় সূত্রে ঘটনা জানার পর পুলিশ ও বিজিবির একাধিক দল আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে কোনো মরদেহের সন্ধান পায়নি।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পেয়ার আহমেদ মঙ্গলবার রাত ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে জীবন ত্রিপুরাকে হত্যার প্রতিবাদে বাবুছড়ার পাকুজ্যছড়িতে মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ইউপিডিএফ। সমাবেশ থেকে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের দাবি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে জেএসএস সন্তু ও ইউপিডিএফ প্রসীতপন্থীরা পরস্পর অঘোষিত অস্ত্রবিরতিতে সম্মতি হয়। দীর্ঘ ৫ বছর এ ধারা অব্যাহত থাকলেও চলতি বছরের জুন মাসে সরকারের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় সাড়া দেয় ইউপিডিএফ। সরকারের কাছে ইউপিডিএফ ৮৭টি দাবিও উপস্থাপন করে। এরপর থেকে সংগঠন দুটিতে দূরত্ব তৈরি হয়।