সাতক্ষীরায় ১০০ পিস ছাগলের চামড়া মাটিচাপা দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। চামড়াগুলো শহরের বিনেরপোতা এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে সেগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা শহরের বিনেরপোতা এলাকার শাহজাহান খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ (সোমবার) সকালে রাস্তার পাশে ১০০টির মতো ছাগলের চামড়া ফেলে রাখতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এসব চামড়া ফেলে দিয়েছে কেউ।’
দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম তলানিতে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও সে দামে চামড়া কিনতে চাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। যেমন সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীরা ছাগলের প্রতি পিস চামড়া কিনছেন ৫ থেকে ১০ টাকায়।
এবার ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতা সংকটে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে চামড়া ফেলে দিচ্ছেন অনেকে।
সাতক্ষীরা শহরের চামড়া ব্যবসায়ী আলাউদ্দীন বলেন, ‘ছাগলের প্রতি পিস চামড়া ৫ থেকে ১০ টাকায় কিনছি, আর গরুর চামড়া ১০০ থেকে ৬০০ টাকায়। ছাগলের চামড়া কিনে প্রসেসিং করতে করতে নষ্ট হয়ে যায়। গরুর চামড়াও কিনে লবণ দিয়ে প্রসেসিং করে রাখতে হয়।
‘তারপর আবার আমাদের কাছ থেকে কেনার ক্রেতা নেই। সরকার মূল্য নির্ধারণ করেছে ১০ টাকা ফুট হিসেবে লবণ দেয়া চামড়া কিনবে। লবণ দিতে হয় ১০ টাকার। আমাদের কাছ থেকে কারা কিনবে সেটি এখনো জানি না।’
সাতক্ষীরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনেরপোতা এলাকায় ১০০টির মতো ছাগলের চামড়া ফেলানো হয়েছে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সেগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আড়তে গিয়ে জানার চেষ্টা করলেও তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’