বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোরবানির মাংসের বাজার, কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০

  •    
  • ১০ জুলাই, ২০২২ ১৯:০৭

খিলগাঁও রেলগেটের সামনে কয়েক ভাগ মাংস নিয়ে বসেছেন রহিম মিয়া। কুড়িয়ে পাওয়া মাংস নয়, বিভিন্ন বাসায় কোরবানির মাংস কাটার পর নিজের ও দলের ভাগ একত্রিত করে বিক্রির জন্য বসেছেন। তার বাড়ি রংপুর। এত মাংস নেয়া সম্ভব না, তাই বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। দাম কেমন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘৩০০ টাকা কেজি, কিছু কমাইয়া হইলেও দিয়া দিমু।’

ঈদের দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাংস সংগ্রহ করেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দিন শেষে তারাই আবার খাওয়ার জন্য কিছু মাংস রেখে বাকিগুলো বিক্রি করে দেন।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই মাংস পাওয়া যায় যা অনেকের কাছে গরিবের মাংসের হাট নামে পরিচিত।

রোববার রাজধানীর মগবাজার রেলগেট, বাংলামটর, হাতিরপুল, মৌচাক, খিলগাঁও ফ্লাইওভারসংলগ্ন রেলগেট, রামপুরাসহ বিভিন্ন মোড়ে এমন হাটের দেখা মেলে। সেখানে মাংস আসা শুরু হয় বেলা ৩টার পর, যা চলবে রাত অবধি।

সাধারণত নিম্নবিত্তরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করেন এসব মাংস। আবার অনেকেই মৌসুমি কসাই। কাটাকাটির পর সেখান থেকে মাংস পেয়েছেন তারা। কেউ আবার টাকার বদলে মাংস নিয়েছেন। এসব মাংসই বিক্রি হচ্ছে অস্থায়ী এসব বাজারে।

বলা যায়, এখানকার ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাই মৌসুমি। ক্রেতাদের মধ্যে বেশির ভাগই নিম্নবিত্ত। তবে এসব মাংসের প্রতি রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদেরও আগ্রহ রয়েছে।

খাবার হোটেলের যে কর্মীরা মাংস কিনছেন, তারা পরিমাণে অনেক নিচ্ছেন। আর নিম্ন আয়ের যে শ্রমজীবী মানুষ এসেছেন, তারা নিচ্ছেন কম করে।

অবশ্য কেবল নিম্ন আয়ের মানুষরাই কেনেন, এমন নয়। যারা ঢাকায় কোরবানি করেন না, তাদের কেউ কেউ এসব মাংস কিনে নিয়ে যান।

একজন ক্রেতা বলেন, ‘এই মাংসের স্বাদ বেশ ভালো। আমি প্রতি বছর কিনি। এখানে বিভিন্ন বাড়ির নানা ধরনের গরুর মাংস মিশ্রিত থাকে। তাই স্বাদে ভিন্নতা থাকে।’

খিলগাঁও রেলগেটের সামনে কয়েক ভাগ মাংস নিয়ে বসেছেন রহিম মিয়া। কুড়িয়ে পাওয়া মাংস নয়, বিভিন্ন বাসায় কোরবানির মাংস কাটার পর নিজের ও দলের ভাগ একত্রিত করে বিক্রির জন্য বসেছেন।

তার বাড়ি রংপুর। এত মাংস নেয়া সম্ভব না, তাই বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই।

দাম কেমন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘৩০০ টাকা কেজি, কিছু কমাইয়া হইলেও দিয়া দিমু।’

মগবাজার রেলগেটে বসা কয়েকজন মাংস বিক্রেতার কাছে মাংস কিনছেন একটি হোটেলের ম্যানেজার। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই কোরবানি ঈদে হোটেলের জন্য এসব মাংস সংগ্রহ করি। দামে কম হওয়ায় এসব মাংস কেনা লাভজনক।’

রিকশাচালক মো. বাদল কিনতে এসেছেন মাংস। তিনি এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাগো মতো গরিব মাইনষে তো এত টাকা দিয়া গোস্ত কিনতে পারব না। এসব হাট থাইকাই মাংস কিনি।’

মাংস বিক্রি হচ্ছে দুইভাবে। ব্যাগ হিসেবে প্যাকেজ অথবা কেজি দরে। প্রতিকেজি মাংসের দাম হাঁকা হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। আর হাড় ছাড়া বা খুব কম হাড়ওয়ালা মাংসের দাম আরও বেশি। শুধু মাংস নয়, এসব বাজারে ভুঁড়ি, পা, আস্ত মাথা বা মাথার মাংসও বিক্রি হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর