বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদারীপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ১৫:১১

মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ বছর ঈদে জেলায় ৬৭ হাজার ৮২৫টি গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খামারি রয়েছেন ২১ হাজার ২৭৫ জন। ছাগলের সংখ্যা ২ হাজার ১১০টি।

কোরবানি ঈদ সামনে রেখে মাদারীপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে চলছে বেচাকেনার ধূম। ক্রেতাদের সমাগমে গরুর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় খামারিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

এ দিকে বাজারে সরবরাহ বাড়লেও আগের বছরের চেয়ে বেশি দামে গরু কিনে কিছুটা হতাশ ক্রেতারা। বাজারে ছোট ও মাঝারি সাইজের গুরুই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় অন্তত শতাধিক স্থানে পশুর হাট বসেছে। প্রখর রোদ ও বৃষ্টির মধ্যেই চলছে বেচাকেনা। বাজারে গরুর সরবরাহ বেশি ও ক্রেতার সংখ্যাও ভালো সংখ্যক থাকায় সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় হাটগুলো।

সরেজমিনে দেখা যায় জেলা সদরের চরমুগরিয়া, মস্তফাপুর, হাউসদী, রাজারহাট, নতুন রাজারহাট, মাদ্রা, আচমত আলী ব্রিজের নিচে, ঝাউদীতে পশুর হাট বসেছে।

এ ছাড়া কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট, ভূরঘাটা, ডাসার, খালেকেরহাট; শিবচর উপজেলার উৎরাইল, নিলখী, কাঠালবাড়ী, দাদা ভাই উপ-শহর, দত্তপাড়া; রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট, হোসেনপুর, মাদেন্দ্রী, পাইকপাড়া, আমগ্রামসহ জেলার ছোট-বড় মিলে প্রায় শতাধিক স্থানে পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে কিছু হাটে সারা বছর পশু বিক্রি হয়। কিছু হাট অস্থায়ীভাবে বসেছে।

মাদারীপুর জেলা সদরের ভরুয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গেল দুই-তিনের হাটের চেয়ে আজ নতুন রাজারহাটে গরুর বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এতে ক্রেতারা খুশি না হলেও খামারি ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে।

‘বৃহস্পতিবার যে গরুর দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা, সে গরু এখন ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই পশুকে খাওয়ানো ও রাখার বিষয়টি ঝামেলা মনে করে শেষ দিকে গরু কিনছেন। তাই এখন ক্রেতার সংখ্যাও বেশি।’

একই গ্রামের খামারি এইচ এম সোহাগ বলেন, ‘দুই বছর ধরে চলা করোনা পরিস্থিতি মানুষকে আর্থিক সংকটে ফেলেছে। গত বছর ২৮টি গরু বিক্রি করেছি, আজ সেখানে মাত্র ১৬টি বিক্রি হয়েছে। যারা আগে একটি গোটা পশু কোরবানি করতেন এখন তারা ভাগে দিচ্ছেন।

‘প্রথম দিকে গরুর বাজার দেখে হতাশ হয়েছিলাম। শেষ মুহূর্তে বাজার কিছুটা ভালো, তবে গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম হচ্ছে।’

মাদারীপুর পৌর শহরের শফিক স্বপন বলেন, ‘এ বছর গরুর দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। ভাগাভাগি করে একটি গরু ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। শেষ মুহূর্তে গরুর সরবরাহও যেমন বেশি, তেমনি দামও বেশি।’

এদিকে টেকেরহাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশি গরুতে বাজার সয়লাব। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন এক থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় মিলছে গরু। সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যাও। বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ। তবে ছাগল তুলনামূলক কম বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ বছর ঈদে জেলায় ৬৭ হাজার ৮২৫টি গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খামারি রয়েছেন ২১ হাজার ২৭৫ জন। ছাগলের সংখ্যা ২ হাজার ১১০টি।

গত বছর পশুর সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার। এ বছর চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত গরু রয়েছে ৫ হাজার ৩৩০টি। কোরবানির জন্য ক্রেতারা যাতে সুস্থ সবল পশু পেতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগে থেকেই খামারিদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া হাটগুলোতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের চার জনের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। জাল নোট শনাক্তে ব্যাংকের লোকজন কাজ করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর