ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ চাপ বাড়ছে। ঘাট এলাকায় দেখা গেছে যানবাহনের সারি। তবে ফেরি পারের তুলনায় লঞ্চযাত্রীদের ভোগান্তি কম।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, যাত্রী ও গাড়ি পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি ফেরি মেরামত করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে প্রাইভেট কার ও ট্রাক মিলিয়ে প্রায় ৩০০ যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
৩, ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটে যানবাহন দেখা গেছে বেশি। ফেরি পেতে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টাখানেক সময়। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগের তুলনায় তা স্বাভাবিক। আগে যেখানে ঈদের সময় ঘাটের যানবাহনের সারি চলে যেত কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত, ফেরির দেখা পেতে অপেক্ষায় থাকতে হতো দীর্ঘ সময়, পদ্মা সেতু চালুর পর এখন সেই চাপ বা দুর্ভোগ নেই।
মাগুরার আফজাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় পাটুরিয়া ঘাট অনেক স্বাভাবিক। আগে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো, সেখানে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ফরিদপুর যাবেন মর্জিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘ভোগান্তি হবে না ভেবে পাটুরিয়া দিয়ে বাড়ি ফিরছি। ঘাটে এসে ঘণ্টাখানেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ঈদের আগে এত কম ভোগান্তিতে বাড়িতে ফিরতে পারছি, এটাই অনেক কিছু।’
সাতক্ষীরার জামিল হোসেন বলেন, ‘গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বাসে আসছি। এরপর পাটুরিয়া বাস টার্মিনালে নেমে লঞ্চঘাটে আসতে হইছে। লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দি বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকেই লঞ্চঘাটে হাঁটা যাত্রী আসতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে। যাত্রীর চাপে ৫ মিনিটের মধ্যে একটা লঞ্চ ছাড়তে পারি।’
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোরবেলা থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। কিন্তু পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় ঘাটে তেমন কোনো ভোগান্তি নেই। ঘাট এলাকায় কিছু বাস ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিতে যাত্রী ও বাস পারাপার করা হচ্ছে।
‘বৃহস্পতিবার গার্মেন্টস ছুটির পর যাত্রীদের চাপ বাড়ে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা, সাভার, গাজীপুর, আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষ গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। এ কারণে কিছুটা চাপ বেড়েছে।’