নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আড়াই বছরের শিশুকে হত্যার অভিযোগে মাকে আটক করেছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে সোমবার রাতে শারমিন আক্তারকে আটক করা হয়।
১৯ বছর বয়সী শারমিন সদর উপজেলার ফতুল্লার উত্তর নরসিংহপুর এলাকায় থাকেন। তিনি ডিক্রিরচর এলাকার একটি ইটভাটার শ্রমিক।
শারমিনের পরিবারের বরাতে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির জানান, ২০১৯ সালে শারমিনের সঙ্গে চাঁদপুরের মতলব থানার মো. শাকিলের বিয়ে হয়। এরপর তারা ফতুল্লায় থাকা শুরু করেন।
তাদের মেয়ে জান্নাতুলের জন্মের ছয় মাস পর শাকিল তার স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে শারমিন নরসিংহপুরে তার মা-বাবার সঙ্গে থাকেন। স্বামী অন্য জায়গায় বিয়ে করেছেন শুনে সন্তানের লালনপালন নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন শারমিন।
তার বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সকালে আমি শারমিনের কোলে জান্নাতুলকে দেখে কাজে গেছি। বিকেলে আমার স্ত্রী ফোনে জানায়, জান্নাতুল মারা গেছে। তাকে জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। হাসপাতালে গিয়ে দেখি, বাচ্চাটাকে মর্গে নিয়ে গেছে।’
শারমিনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘রোববার শারমিন জানায়, ইটভাটার শ্রমিক শাহপরানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। সোমবার তারা বিয়ে করতে চায়। এরপর সোমবার বেলা ১১টার দিকে নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে এসে জানায়, তার মেয়ে পানিতে পড়ে অসুস্থ হয়ে গেছে।
‘প্রথমে আমরা জান্নাতুলকে একটা ফার্মেসিতে নেই। সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ডাক্তার জানান, জান্নাতুল মারা গেছে। আমার সন্দেহ, বিয়ে করার জন্য শারমিনই তার মেয়েকে মেরেছে।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘শারমিন চিকিৎসককে জানান, তার মেয়ে পানিতে পড়ে গেছে। তবে চিকিৎসকের মনে হয়, শিশুটিকে শ্বাস রোধে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আমাদের ফোন দিলে আমরা গিয়ে শারমিনকে আটক করি। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে এটি মৃত্যু নাকি হত্যা।’