চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফোরকান আলী ও একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করা হয়েছে। ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্র দাখিল করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিল পাস চেষ্টার বিষয়ে এই অভিযোগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক নাজমুস সাদাতের কাছে অভিযোগ পৌঁছে দেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৪ সালের একটি বিল নিয়ে অ্যাকাউন্ট অফিস থেকে আপত্তি এসেছে, হাসপাতালের আটটি আইসিইউ, আটটি ভেন্টিলেটর, একটি কার্ডিয়াক পেশেন্ট মনিটরের এই বিলের ব্যয় মঞ্জুরিপত্র যথাযথ ছিল না। তারপর অধিদপ্তর আমাদের চিঠি দিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। তাই আমরা ভুয়া বিল তৈরিতে জড়িত চারজনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে দুদক চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক নাজমুস সাদাত বলেন, ‘জেনারেল হাসপাতাল থেকে চারজনের বিরুদ্ধে ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরি দেখিয়ে বিল পাস চেষ্টার একটা অভিযোগ পেয়েছি আমরা। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আজকে অভিযোগ দিয়েছেন আমাদের। এটা আমরা ঢাকায় পাঠাব, ওনারা যা সিদ্ধান্ত দেন সে অনুযায়ী কাজ করব।’
এর আগে মঙ্গলবার অভিযুক্ত চারজন ভুয়া ব্যয় মঞ্জুরিপত্র দাখিল করে বিভাগীয় ট্রেজারি অফিস থেকে ওই বিলটি পাস করিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ট্রেজারি অফিসের কর্মকর্তারা বিলটি আটকে দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানান।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হিসাবরক্ষক মো. ফোরকানকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।