ময়মনসিংহ সদরে এক নারীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের প্রেমিকার মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী আছমা।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিহতের স্বামী আব্দুর রশিদ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন খোকন মিয়া ওরফে কাজল, তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার কনা, গোলাম মোস্তফার ছেলে কামাল মিয়া, বাবুল, কামাল মিয়ার স্ত্রী নাসিমা আক্তার বৃষ্টি, বাবুলের স্ত্রী রোমান।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সদর উপজেলার চরঈশ্বরদিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী খুকি আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবার সে সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিল না।
গত ২৬ জুন তারা পালিয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় মেয়ের পরিবারের লোকজন। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে মঙ্গলবার ছেলের বাড়িতে এসে ছেলের মা লাইলীকে একা পেয়ে প্রথমে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হাত-পা তার দিয়ে বেঁধে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আগুন জ্বলতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লাইলীর মৃত্যু হয়।ফারুক হোসেন আরও জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
লাইলী আক্তারের স্বামী আব্দুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মানুষ মানুষকে এভাবে হত্যা করতে পারে না। আমার স্ত্রীর শরীর ৬০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। আমি হত্যাকরীদের ফাঁসি চাই।’