সিলেট সিটি করপোরেশনের কাছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পাওনা প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৯ কোটি টাকা বুধবার পরিশোধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
নগর ভবনে বুধবার দুপুরে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের কাছে চেক হস্তান্তর করেন।
সিটি করপোরেশনের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গত ১৫ জুন নিউজবাংলায় ‘সিলেটে সিটি করপোরেশনই শীর্ষ বিলখেলাপি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তাতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের বিল বকেয়া পড়ে আছে ৮৬ কোটি টাকা। বেশির ভাগ বকেয়াই সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে প্রায় ২০ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে এগিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিল পরিশোধের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন।
বুধবার চেক হস্তান্তরের সময় মেয়রের পাশাপাশি ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান, পিডিবির ডিভিশন-১ নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল করীম, পিডিবির ডিভিশন-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস আরেফিনসহ অন্য কর্মকর্তারা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির এর আগে নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বকেয়া বিল উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশনার পর থেকে আমরা জোরেশোরে অভিযানে নেমেছি। ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৩ থেকে ১৪টি অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’সিটি করপোরেশনের বকেয়া প্রসঙ্গে তিনি গত বুধবার বলেছিলেন, ‘আগে তাদের কাছে বকেয়া ছিলে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে দুই দফায় ১০ কোটি টাকা দিয়েছে। আরও ২০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।’তবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গত বুধবার দাবি করেছিলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে উল্টো টাকা পায় সিটি করপোরেশন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেনাপাওনা উভয় পক্ষেই আছে। বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের জন্য তারা আমাদের সড়ক ব্যবহার করে। অনেক সময় এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও আমাদের করতে হয়। এ ছাড়া মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের তার নিতে অনেক সড়ক তারা খোঁড়াখুঁড়ি করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর ক্ষতিপূরণ আমরা পাইনি। সব মিলিয়ে তাদের কাছে আমরা প্রায় ৪০ কোটি টাকার মতো পাই।’