বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত ‘জনগণের পুলিশ’ হয়ে তার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রত্যয়ে নিরলস কাজ করে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় জনগণকে আরো সহজে সেবা দিতে অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে মঙ্গলবার পুলিশের পাঁচটি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজতর করার লক্ষ্যে অনলাইন জিডি চালু হতে যাচ্ছে। ফলে ঘরে বসেই মানুষ অনলাইনে জিডি করতে পারবে।’
আইজিপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্ত ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুর নিরাপত্তাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সব আইনি সেবা দিতে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু উত্তর থানা এবং শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে সংযোজন করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে। এ পরিবর্তনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ দেশ ও মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাবে।’
পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সুবিধার উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একান্ত উদ্যোগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় ১২টি পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ সদস্য ছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষ এসব হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা পাবে।’
ড. বেনজীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ৬৪টি জেলায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক ব্যারাক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০২০ সালের মধ্যে ২২টি জেলায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ব্যারাক ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর আরও ছয়টি ইউনিটে ব্যারাক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে নবস্থাপিত ‘পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা ও পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশ কতৃর্ক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, নবনির্মিত ১২টি পুলিশ হাসপাতাল উদ্বোধন, বাংলাদেশ পৃলিশের ৬টি নারী ব্যারাক উদ্বোধন এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।