বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুনামগঞ্জ শহরে বিদ্যুৎ ফিরেছে ৪ দিন পর

  •    
  • ২০ জুন, ২০২২ ১৯:০২

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা মশিউর বলেন, ‘শহরের ৫০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছি। গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোতে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। আরও এলাকায় দেয়ার জন্য কাজ করছি। তবে যে এলাকার পানি এখনও নামেনি, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে না।’

বন্যাকবলিত সুনামগঞ্জ শহরের ৫০ শতাংশ এলাকায় চার দিন পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।সোমবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান।

বন্যার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে সুনামগঞ্জের একের পর এক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। সোমবার বিদ্যুৎ আসে হাসপাতাল, কারাগার, ডিসি অফিস ও সদর থানাতেও।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা মশিউর বলেন, ‘শহরের ৫০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছি। গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোতে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। আরও এলাকায় দেয়ার জন্য কাজ করছি। তবে যে এলাকার পানি এখনও নামেনি, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে না।’

বন্যা পরিস্থিত যেমন

সুরমার পানি সোমবার বিকেল ৫টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে সুনামগঞ্জে। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে সোমবার পানি কিছুটা কমেছে। তবে নিচু সড়ক ও ঘরবাড়ি থেকে পানি এখনও নামেনি।

জেলার মানুষের চোখেমুখে হাহাকার। সবাই বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকায় কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারছে না। খাবার সংকটও প্রকট সেখানে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রায় পাঁচ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেছি। গাড়ি দিয়ে ৬০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি দিয়েছি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা বলেন, ‘নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে বইছে। বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। আশা করা যায় এই পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।’

বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে চুরি-ডাকাতি বা অপরাধমূলক অন্যান্য কর্মকাণ্ড যেন না ঘটে সে জন্য পুলিশ তৎপর আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি ও শুকনো খাবার বিতরণ চলছে। যৌথবাহিনীও কাজ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর