বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্যার পানি নামবে কবে?

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৯ জুন, ২০২২ ০১:৫২

বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। ইতোমধ্যেই সিলেটের ৬০ শতাংশ ও সুনামগঞ্জের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই দুটি অঞ্চলে আরও অন্তত দুই দিন বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।

দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ১০ জেলার ৬৪টি উপজেলা এখন বন্যাকবলিত। এর মধ্যে বিরামহীন বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। ১২২ বছরের ইতিহাসে এমন বন্যা দেখেনি এই অঞ্চলের মানুষ।

শনিবার দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। আগামী দুই দিন দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জে আরও অন্তত দুই দিন পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যেও এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঢাকা ও সিলেট বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কখনও গুঁড়িগুঁড়ি কখনও বা মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার পর্যন্ত এমন বৃষ্টি হতে থাকবে; এর পরদিন মঙ্গলবার বৃষ্টি থামতে পারে কিংবা কমে যেতে পারে।

আফরোজা বলেন, ‘সারা দেশেই সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। এর পর কমে আসবে।’

তবে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার বিভিন্ন উপজেলায় যে বন্যা চলছে তা শুধু দেশের বৃষ্টিপাতের ওপরই নির্ভর করছে না। কারণ এই অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টি ছাড়াও পাহাড়ি ঢলের পানিও প্রবেশ করছে। এই ঢল নেমে আসছে ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকে। এ দুটি অঞ্চলেও এখন বন্যা বিরাজ করছে। সেখানকার প্রধান নদীগুলোতে পানির উচ্চতা বেড়েই চলেছে। প্রচুর বৃষ্টির কারণে দুই রাজ্যের অনেক স্থানে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম ও মেঘালয়ের বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আসামে ১২ জন ও মেঘালয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আসামে এক দিনে ৮১১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ডের ২ দিন পরই শুক্রবার সেখানে ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ওই অঞ্চলে ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

আসাম ও মেঘালয়ে বন্যা পরিস্থিতি যখন ক্রম অবনতির দিকে যাচ্ছে তখন ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ২২ তারিখ পর্যন্ত এ দুটি রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাত চলতেই থাকবে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

আশঙ্কার বিষয় হলো, আসাম ও মেঘালয়ের বন্যার পানি নদ-নদী ও পাহাড়ি উপত্যকা দিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। তাই এই দুটি এলাকায়ও আরও দুই থেকে তিন দিন বন্যা পরিস্থিতির ঘটনা ঘটতে পারে।

এদিকে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, ‘মঙ্গল ও বুধবার থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে পানি কমতে শুরু করবে। তবে ওই সময়ে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, এবারের বন্যায় সিলেটের ৬০ শতাংশ প্লাবিত হয়েছে। আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ। সেখানকার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী একসঙ্গে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর