পদ্মা সেতু হওয়ায় সারা দেশের মানুষ খুশি হলেও জামাত-বিএনপি এবং মধ্যরাতের টিভির কিছু টক শো বিশেষজ্ঞ খুশি হতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে জেলার সার্কিট হাউজে পৌঁছে শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়, আমাদের দেশ ও বঙ্গবন্ধুকন্যার সক্ষমতা, মর্যাদার প্রতীক। সেতু হওয়ায় সারা দেশের মানুষ খুশি হলেও খুশি হতে পারেনি জামাত-বিএনপি ও মধ্যরাতের টিভির কিছু টক শো বিশেষজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘এ কারণে সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামাত ও দেশবিরোধী অপশক্তি নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ট্রেনসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। আমি দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থী ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে চমৎকার নির্বাচন হয়েছে, পরাজিত প্রার্থীরাও তাই বলেছেন এবং নির্বাচনকালে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম, আমাদের প্রার্থী আরও বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেখানে কাউন্সিলরদের ২৭টি পদের মধ্যে ২০টিতেই আমাদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। আর মহিলা কাউন্সিলরদের ৯টি পদের ৭টিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। যেখানে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার, সেখানে মেয়র পদে আমাদের প্রার্থীর আরও অনেক বেশি ভোট পাওয়ার কথা ছিল।’
এ সময় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গত সাড়ে ১৩ বছরে বাজেটের আকার ৭ থেকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমেছে, অতি দারিদ্র্য কমে ১০ শতাংশে এসেছে। কিন্তু সিপিডি, টিআইবিসহ কিছু বুদ্ধিজীবী যারা কখনও বাজেটের প্রশংসা করতে পারে না, বাজেট নিয়ে তাদের বুদ্ধি লোপ পায় কেন, বোধগম্য নয়।’
পরে মন্ত্রী সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ওয়ারেছ আলী প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সামশীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান।