বাংলাদেশের কাছে গম বিক্রিতে রাজি ভারত। তবে দেশটি শর্ত দিয়েছে, গম আমদানি করে বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশে তা বিক্রি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে রাজি। এমনকি আমাদের বেসরকারি খাতও গম আমদানি করতে পারবে। ভারত এটি অনুমোদন দিয়েছে। তবে ভারতীয় গম বাংলাদেশ থেকে অন্য কোনো দেশে বা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করা যাবে না।’
আসন্ন ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী ১৯ জুন বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে জ্বালানি নিরাপত্তার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে নতুন ইস্যু জ্বালানি নিরাপত্তা। এটি কীভাবে নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে কথা হবে।’
বৈঠকে অনেক অমীমাংসিত বিষয় নিয়েও আলাপ হবে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো নদী সম্পর্কে আলাপ আছে। ফেনী আছে, কুশিয়ারা আছে। পাটের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক ও সীমান্ত ইস্যু আছে। উভয় দেশ পাশাপাশি হলে সমস্যা থাকে এবং সমাধানও হয়। সে ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল বা উত্তেজনা যাতে না হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
মোমেন বলেন, ‘যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের বিষয়ে গত মাসে আসামে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি বলেছিলাম। কিন্তু সেটা হয়নি। সে জন্য তারা রেডি না। জেসিসি বৈঠকের আগে জেআরসির বৈঠক না হলেও পানি বণ্টন ইস্যুতে আলোচনা হবে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক ও সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দেয়া হয়েছে। তারা শুধুমাত্র ৫৮ হাজার রোহিঙ্গাকে যাচাই করেছে। আমরা প্রথম একটি গ্রুপ পাঠাতে চাই। কিন্তু দিন-তারিখ ঠিক হয়নি।’
আগামী ১৯ জুন নয়াদিল্লিতে জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে ১৮ জুন রাতে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
সপ্তম জেসিসি বৈঠকে ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও নয়াদিল্লির পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেতৃত্ব দেবেন। এতে দুই দেশের সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।