বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহাদেও নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রুল

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২২ ১৮:২৫

রুলে মহাদেও নদীর পাশের ফসলি জমি, স্থানীয় বাজার, বসতবাড়ি, বাগান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গাছপালা রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার সন্যাসীপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাদেও নদী রক্ষায় রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

রুলে নদীর পাশের ফসলি জমি, স্থানীয় বাজার, বসতবাড়ি, বাগান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গাছপালা রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে মহাদেও নদী, নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীর সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নদীর বর্তমান কী অবস্থা তা জানিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহ জেলার বিভাগীয় কমিশনার, নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের নেত্রকোণার সহকারী পরিচালক ও কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেয়।

আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী রিটের বিষয়ে বলেন, ‘মহাদেও নদী ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলাস্থ ৮ নম্বর রংছাতি ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর ৮ নম্বর রংছাতি ইউনিয়নে একটি ঘোষিত বালুমহাল আছে। ওই বালুমহালে বালু না থাকায় মহাদেও নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন করছেন ইজারাদাররা।

‘অনিয়ন্ত্রিত, আইনবহির্ভূত ও নির্বিচারে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলায় নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সন্যাসীপাড়া, পাতলাবন, মৌতলা, বরুয়াকোনা, ডাকাইয়াপাড়া, কান্দাপাড়া, রাজবাড়ী, সতেরহাতি, ব্যস্তপুর, ছোটমনগড়া ও চিকনটুপ গ্রামবাসীর ফসলি জমি, স্থানীয় বাজার, বসতবাড়ি, বাগান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বৃক্ষাদির মারাত্মক ক্ষতি হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মহাদেও নদী ও এর প্রতিবেশ ব্যবস্থা।’

এসব এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন সময় মানববন্ধনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন করেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নেওয়ায় ক্রমেই বিলীন হচ্ছিল তাদের সম্পদ। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছিল মহাদেও নদীর অস্তিত্ব। এমন অবস্থায় ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষে বেলা জনস্বার্থে রিট দায়ের করে বলে জানান মিনহাজুল হক চৌধুরী।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর