বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণে সোমবার বিকেলে মেডিক্যাল বোর্ড বসছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্য সোমবার বিকেলে নিউজবাংলাকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে বিকেল ৫টায় মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে বৈঠক শেষ হওয়ার কথা। বৈঠক থেকে পরবর্তী চিকিৎসা কী হবে সেটি নির্ধারণ করা হবে।’
মেডিক্যাল বোর্ডে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসক আছেন। এভায়কেয়ারের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. শাহবুদ্দিন তালুকদারকে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে। হাসপাতালের বাইরেও মেডিক্যাল বোর্ডে ছয়জন চিকিৎসক রয়েছেন।
শুক্রবার রাতে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘শনিবার ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটি ব্লক পাওয়া যায়। একটা ব্লক মেইন গ্রেট ভ্যাসেলে, যেটা বাম দিকের মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি ব্লক ছিল। যে কারণে ওনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এনজিওগ্রামের পর ওখানে সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা (রিং পরানো) হয়েছে। এখন উনি সিসিইউতে কার্ডিওলজিস্টদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।’
গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তার শরীরে কয়েক দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়। ২৮ নভেম্বর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সেদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাতেও তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে সরকারপ্রধানের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ছয় মাসের জন্য সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।