স্বাধীনতার পর একমাত্র পদ্মা সেতুর জন্যই আবারও গোটা জাতি এক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত 'পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন' শীর্ষক সেমিনারে শনিবার সকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন করার সময় যেভাবে গোটা জাতি এক হয়েছিল, সেভাবে পদ্মা সেতুর জন্যও সবাই এক হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় যেভাবে দেশের মানুষ তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন, ঠিক সেভাবেই এখন দেশের মানুষ পদ্মা সেতুর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’
দেশের এই অর্জনকে ম্লান করতে অনেকে সমালোচনা করছেন উল্লেখ করে তাদের নীরব থাকার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘হয় পার্টিতে যোগ দিন, নয়তো চুপচাপ থাকুন। পণ্ডিতরা পণ্ডিতের জায়গায় থাকুক। আমরা সাধারণ মানুষ, নতুন যে উদ্যম হয়, আমরা তার সঙ্গে থাকব। সেটা পদ্মা সেতু হোক, টানেল বা বিদ্যুতায়ন হোক।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল বলেন, ‘পদ্মায় একটি ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জাপান সফরকালে বলেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কারণে এটি আর আলোর মুখ দেখেনি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে ও পরে অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার সময় অনেক বাধা এসেছে। বিশ্বব্যাংক টাকা বরাদ্দ না হওয়া সত্ত্বেও বলেছে এখানে দুর্নীতি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসের আর্টিকেলে দুর্নীতির অভিযোগ সাপোর্ট করে বলেছেন এটা না করাই উত্তম।
‘সে সময় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু করব। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস এবং সততার বিজয়গাথা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে নোংরা রাজনীতি এখনও চলছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতুকে অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তিনি বলেছেন এত টাকা ব্যয়ে এখানে সেতু করার দরকার ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। এটা অসুস্থ রাজনীতির পরিচয়।’
আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল, বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতসহ অনেকে।