শেরপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে এমদাদুল হক লালু নামের এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া।
তিনি জানান, ২০১০ সালে শেরপুর সদর উপজেলার ছয়ঘরি পাড়ার আব্দুর রশিদের ছোট মেয়ে রোকসানা বেগমের বিয়ে হয় পাশের মুকসুদপুর গ্রামের এমদাদুল হক লালুর সঙ্গে। লালু একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। ২০১৬ সালে তার চাকরি চলে যায়। তখন স্ত্রীর কাছে তিনি দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
যৌতুকের টাকা না পেয়ে লালু ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রোকসানাকে পিটিয়ে জখম করেন। পরে মুখে বিষ ঢেলে দেন। শেরপুর জেলা হাসপাতালে রোকসানাকে ভর্তি করা হলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
রোকসানার মৃত্যুতে পরদিন থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্টে ধরা পড়ে, রোকসানার মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে।
পরে রোকসানার বড় ভাই ডা. গোলাম মস্তোফা বাদী হয়ে এমদাদুল হক লালুসহ ৯ জনকে আসামি করে নারী নির্যাতনসহ হত্যার অভিযোগে শেরপুর সদর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে আসামি এমদাদুল হক লালুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়।
বিচার শেষে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আক্তারুজ্জামান মঙ্গলবার এ মামলার রায় দেন। এতে এমদাদুল হক লালুকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।