যশোরে হবু স্বামীর মেসেঞ্জারে কনের অন্তঃসত্ত্বার জাল সার্টিফিকেট পাঠানোর অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে জাল সার্টিফিকেট পাঠিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে চারজনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন কনের বাবা।
আসামিরা হলেন- যশোর শহরতলীর ধোপাখোলা পশ্চিমপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে আলিফ, আব্দুল হামিদের ছেলে পলাশ, মালঞ্চি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে আল-আমিন এবং মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা মুড়াগাছা গ্রামের মঙ্গল দাসের ছেলে মিলন কুমার দাস।
এর মধ্যে প্রধান আসামি আলিফ ছাড়া বাকি তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানায় লিখিত অভিযোগে কনের বাবা উল্লেখ করেছেন, তার এসএসসি পরীক্ষার্থী কন্যাকে স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দেন আসামি আলিফ। এ ছাড়া মোবাইলের মেসেঞ্জারে আজেবাজে ছবিও পাঠান তিনি।
এর মাঝেই গত ৪ মে বিকেলে বাদীর বাড়িতে পাত্রপক্ষ আসে কন্যার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। কিন্তু কন্যার বয়স ১৬ হওয়ায় এই বিয়ে ২ বছর পর হবে, এমন পাকা কথা হয়। এই খবর জানার পরই নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেন আলিফ।
বাদির অভিযোগ, কন্যার হবু স্বামীর মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করে গত ২ জুন ঝিকরগাছার একটি ক্লিনিকের জাল মেডিক্যাল আল্ট্রাসনো ও প্রেগনেন্সি রিপোর্ট পাঠান আলিফ ও তার সহযোগিরা। সেই রিপোর্টে মেয়েকে সাত সপ্তাহ তিন দিনের অন্তঃসত্ত্বা দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি ঘটকের মাধ্যমে জানতে পেরে অসুস্থ্য হয়ে যায় বাদীর মেয়ে। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় খোঁজ-খবর নিলে আসামিদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি সামনে আসে।
মামলার অভিযোগপত্রে মেসেঞ্জারে পাঠানো আসামির আপত্তিকর কথার স্ক্রিনপ্রিন্ট এবং ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্টটিও সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর কোতয়ালি মডেল থানার এসআই জয়বালা বলেন, ‘সোমবার মালঞ্চি এলাকা থেকে পলাশ, আল-আমিন ও মিলন কুমার দাসকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামি আলিফকে আটকের চেষ্টা চলছে।’