বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীতাকুণ্ডের আগুন নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১৫:৪৩

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন এবং সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেয়া আছে।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনা দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সেটি সরকার খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ।

সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে রোববার অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন এবং সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেয়া আছে।

‘যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, আমাদের সহযোগী সংগঠনের অন্য নেতা-কর্মীরা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে, যেখানে রক্ত দেয়া লাগে সেখানে রক্ত দেয়ার জন্য, সার্বিক সহযোগিতার জন্য।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটেছে, সেটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

কোনো ঘটনা ঘটার পর তদন্তের কথা উঠলেও আগে কেন মনিটর করা হয় না, প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনা ঘটার আগে কীভাবে খতিয়ে দেখবে। ঘটনা ঘটার আগে খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে কি? সুযোগ নেই।

‘তাদের সব কমপ্লায়েন্স ছিল কি না সেটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। তারা সব কমপ্লায়েন্স করা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছিলে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হবে।’

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমি ঢাকায় বসে সেটি বলতে পারব না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেটি খতিয়ে দেখছে। যদি তাদের কমপ্লায়েন্স না থাকে সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ দায়ী হবে। আর কমপ্লায়েন্স থাকার পরও এটি ঘটলে সেটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সেটিও বেরিয়ে আসবে।’

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার একটি কনটেইনার ডিপোতে রোববার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মীও রয়েছেন।

আগুনে দগ্ধ ও আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের রাসায়নিক পদার্থ থাকার বিষয়টি জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা। তবে ডিপো কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তারা রাসায়নিকের কথা জানিয়ে পানির পরিবর্তে এক্সটিংগুইশার ব্যবহারের কথা বললেও ফায়ার সার্ভিস তা শোনেনি।

আগুনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ডিপো ম্যানেজার নাজমুল আক্তার খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডিপোতে ৪ হাজার ৩০০ কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে খালি ছিল ৩ হাজার। বাকি ১ হাজার ৩০০ কনটেইনারে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য ছিল, যার মধ্যে অধিকাংশই পোশাক খাতের রপ্তানি পণ্য।’

এ বিভাগের আরো খবর