ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না বুঝতে পেরে বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’-এর প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই কর্মসূচির আয়োজন করে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়া একাত্তরের ঘাতকদের সঙ্গে আঁতাত করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির মদদে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। তাদের উত্তরসূরিরা আজ স্লোগান দিচ্ছে- পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
‘ব্যালটের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরাতে পারবে না জেনে ষড়যন্ত্রকারীরা অন্য পথ বেছে নিয়েছে। পেছনের দরজা দিয়ে কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায়, এজন্য তারা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতা তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু-কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এখন আবার ষড়যন্ত্রের মাধ্যম তারা হয় শেখ হাসিনাকে হত্যা, না হয় ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে চায়। এসব মোকাবেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক থাকতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘একাত্তরের খুনি, পঁচাত্তরের খুনি ও ২১ আগস্টের খুনি-এরা এখন অভিন্ন শক্তি। তারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। এই খুনিদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।’