বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জানজুয়াকে গ্রেপ্তার করে বিদ্রোহ করেন জিয়া: মোশাররফ

  •    
  • ২ জুন, ২০২২ ১৭:০৪

‘তিনি তার অধিনায়ক জেনারেল জানজুয়াকে গ্রেপ্তার ও হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করে নিজে যুদ্ধ করেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি ছাড়া এই দাবি কেউ করতে পারবে না। অথচ নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়নে তার অনস্বীকার্য অবদান রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা যখন দেশ থেকে পালিয়েছিলেন, তখন কারও নির্দেশ ছাড়াই তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ করেন।”

‘তিনি তার অধিনায়ক জেনারেল জানজুয়াকে গ্রেপ্তার ও হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করে নিজে যুদ্ধ করেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনা করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি ছাড়া এই দাবি কেউ করতে পারবে না। অথচ নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকীতে এই আলোচনার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘জিয়া পরিবারকে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলেই নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়া ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন। সাংবিধানিক সংস্কার করে বাংলাদেশের জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি আমাদের পরিচিতি হিসেব বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‘তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ঐতিহ্যের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। যার ভেতরে বাংলাদেশের অনেক কিছু নিহিত আছে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে চেতনা, সেটা হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।’

জিয়ার অবদানের কথা উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ কৃষি, রেমিট্যান্স ও গার্মেন্টস শিল্পের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে। এগুলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

‘তিনি খাল খনন করে কৃষির উন্নয়নে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। যে দেশে ৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েও তিন বছর পর তিনি বিদেশে চাল রপ্তানি করেছিলেন। গার্মেন্টস শিল্পের প্রতিষ্ঠা করেন। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা অর্জনের পথ তৈরি করে গেছেন।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশকে ধংসের শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

ড্যাবের মহাসচিব আবদুস সালাম বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো শুরু করেন। তাকে আমাদের আরও বেশি অনুসরণ করে দেশের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে।

‘আজকে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে। আসুন সরকারকে হটাতে আমরা চিকিৎসক পেশাজীবীরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।’

সভাপতির বক্তব্যে ড্যাব সভাপতি হারুন আল রশিদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েও টাকা লুটছে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার। সবার ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদুল আলম, ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি এম এ সেলিম, সহসভাপতি বি গণি ভুইয়া, সিরাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম শাকিল, আবুল কেনান, ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফরহাদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর