অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে মামলা করেন। কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে দুর্নীতি দমন আইনের ২৬ (২) ও ২৭ (১) এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ও ৪ (৩) ধারায়।
মামলাটি রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপের জন্য।মামলাসূত্রে জানা যায়, আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক বলে অভিযোগ জমা পড়েছিল। ২০১৭ সালে দুদক এ বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে। তখন কামরুজ্জামানকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
একাধিকবার তাকে দুদক কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে তার সত্যতা যাচাইয়ে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া ও বর্তমান ঠিকানা রাজশাহীতে অনুসন্ধান চলে।দুদক জানায়, অনুসন্ধানকালে শেখ কামরুজ্জামানের আয়ের সঙ্গে সম্পদের ব্যাপক অসামঞ্জস্য পাওয়া যায়। তার বৈধ আয়বহির্ভূত ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৬ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়।
সে নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার দুদক কর্মকর্তা মামলাটি করেন।
শেখ কামরুজ্জামানের স্থায়ী নিবাস কুষ্টিয়া জেলার বারখাদা এলাকায়। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মহানগরীর পবা নতুনপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।মামলার বিষয়ে জানতে শেখ কামরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।