হত্যার শিকার এক যুবকের মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে কুড়িগ্রামে।
কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের রিভার ভিউ বিদ্যালয় মোড়ে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ করেন নিহতের স্বজনরা। এ সময় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন তারা।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের জলিল বিড়ি ফ্যাক্টরির ভেতর ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোমবার মাঈদুল ইসলাম বাপ্পিকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তার মরদেহ দেয়া হয় পরিবারকে। তখন ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন স্থানীয়রা। অবরোধ তুলতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে পড়ে পুলিশ।
বাপ্পি হত্যার ঘটনায় তার মা বিউটি বেগম বাদী হয়ে খোকন ইসলামকে আসামি করে সোমবার রাতে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেন।
বিউটি বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছেলে লেখাপড়ার পাশাপাশি শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। বিড়ি ফ্যাক্টরিতে তামাকের বস্তা সরানোকে কেন্দ্র করে খোকনের সঙ্গে আমার ছেলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায় খোকন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাপ্পিকে।
‘আমি এ ঘটনায় মামলা করেছি। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ এখন পর্যন্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাঁন মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে আমরা চেষ্টা করছি। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
নিহত বাপ্পি পৌর শহরের চৌধুরী পাড়ার খাদেম আলীর ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম মজিদা আর্দশ ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে পড়তেন।
অভিযুক্ত যুবক খোকন পৌরসভার শহরের মাটি কাটা মোড়ের মৃত নজির হোসেনের ছেলে। তিনি ওই বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদের মামাতো ভাই।