নিজেকে সরকারি দলের লোক দাবি করে এবার বাঁশখালীতে এক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী দাবি করেছেন, তার লাইসেন্সধারী সরকারি গুন্ডা আছে।
বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউপি নির্বাচনের প্রচার সভায় কৃষক লীগ নেতা জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চুর এই বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। জাকের হোসেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য এবং পুঁইছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী।
সোমবার রাতে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের প্রেম বাজার এলাকায় এক পথসভায় এই বক্তব্য দেন তিনি।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৪০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তাকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি সরকারি দলের লোক, আমার তো সরকারি গুন্ডা আছে। আছে না, লাইসেন্সধারী? এরা কি ওদের (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর) কাজ করবে? না আমি নির্দেশ দিলে আমার কাজ করবে?
‘এনার এত হুমকি-ধমকি ভয় পায়, এগুলো আপনারা করবেন না। এগুলো আপনারা জানেন। আপনারা ভালো ভালোই জানেন, এই এলাকায়, এই প্রেম বাজার একসময় ডাকাতের অভয়ারণ্য ছিল। ডাকাতি এমনভাবে করত তারা, রাতে ডাকাতি করত, দিনের বেলায় এখানে বিভিন্ন জায়গায় জুয়া খেলা দিত। এটা আওয়ামী লীগ নামধারী হয়েছিল।’
তবে বক্তব্যের ওই অংশটি স্লিপ অব টাং বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চু। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে ওরা আমাদের অস্ত্র ও গুন্ডার হুমকি দিচ্ছিল। তাই আমি বলতে চেয়েছি আমাদেরও তো ক্ষমতা আছে, চাইলে আমরাও হুমকি দিতে পারি। তবে সরকারি গুন্ডা শব্দটি অনিচ্ছাকৃত উচ্চারিত হয়েছে।’
এই বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা ফয়সাল মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখনও এ রকম বক্তব্য শুনিনি। কেউ আমাকে অভিযোগও জানায়নি। বক্তব্যটি আমি শুনে আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে ব্যবস্থা নেব।’
এক দিন আগে ‘ইভিএম না হলে ভোট আমি মেরে দিতাম’ সমাবেশে এমন বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন বাঁশখালীর চাম্বল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী।
এই ঘটনায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তাকে শোকজ করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।