জয়পুরহাটের কালাইয়ে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে স্বামী-সন্তান মিলে নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুখ্য বিচারিক হাকিম-১ আদালতের বিচারক আতিকুর রহমানের কাছে রোববার বিকেলে বাবা-ছেলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল লতিফ খান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জবানবন্দির বরাতে পুলিশ জানায়, সাত থেকে আট বছর আগে প্রতিবেশী আহসানের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি কেনেন কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের দুদাইল নোয়াপাড়া এলাকা তোজাম হোসেন সরকার। এত দিনেও সেই জমির দলিল হয়নি। সম্প্রতি জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় আহসান আর দলিল করে দিতে চান না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
জমি উদ্ধার করতে ও প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে তোজাম তার ২০ বছর বয়সী ছেলে শিহাব উদ্দিনকে নিয়ে স্ত্রী শিপন আক্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গত শুক্রবার রাতে শিপন রাতের খাবার খেয়ে তার আট বছর বয়সী ছেলে তুহিনকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। একসময় তোজাম ও শিহাব এসে শিপনকে গলা কেটে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখেন।
পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সে সময় বাবা-ছেলে অভিযোগ তোলে, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা শিপনকে হত্যা করেছে।
স্বজন ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ ছিল, অন্যদের ফাঁসাতে বাবা-ছেলে এই কাজ করেছেন।
এ ঘটনায় শিপনের ভাই শাহজাহান আলী তোজাম ও শিহাবসহ পাঁচজনের নামে শনিবার মামলা করেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম থেকেই পুরো পরিবারের সন্দেহ ছিল, জমি নিয়ে প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে বাবা-ছেলে মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমি তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করি।’
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবা-ছেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য রোববার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। বিচারকের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’