ঠাকুরগাঁও সদরে একটি স্কুলে ক্লাস চলাকালীন হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষক মোহম্মদ মোস্তফা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রুহিয়া থানার বদেশ্বরী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত নারীরা হলেন, স্থানীয় আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ৩৮ বছরের জেসমিন আক্তার ও মৃত আজিজুল হকের স্ত্রী ৪০ বছরের মমেনা খাতুন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি জানান, গত ২৫ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্কুলের জমিতে থাকা ওই দুই নারীর বসতি স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমি স্কুলকে বুঝিয়ে দেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ আজ জমির চারদিকে প্রাচীর তোলার কাজ শুরু করলে অভিযুক্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় প্রধান শিক্ষক ও কয়েক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশ কর্মকর্তা চিত্ত রঞ্জন আরও জানান, অভিযুক্তদের দাবি, নিজেদের কেনা জমিতে তারা বাস করে আসছেন। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ জমি তাদের। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি।
স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সমীর দত্ত জানান, এক একর জায়গা রয়েছে স্কুলের। এর মধ্যে ২১ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আসছিলেন ওই দুই নারী। প্রশাসনের উদ্যোগে জায়গাটি দখলমুক্ত করা হয়েছে। উচ্ছেদের বিষয়ে তাদের নোটিশ দেয়া হলে তারা মামলাও করেছেন।
এরই মধ্যে তারা স্কুল চলাকালীন সময়ে হামলা চালায়। এতে স্কুলের কয়েক শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষক আহত হয়েছেন। কমিটির এক সদস্যের মোটরসাইকেলেও আগুন দিয়েছে। খবর দিলে পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উচ্ছেদের ঘটনা স্বীকার করে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহাবুবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।