স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় নকলে বাধা দেয়ায় পাঁচ বছর পর শিক্ষককে দলবল নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর আসাদ একাডেমির গেটে শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষক হেলাল উদ্দিন দুপুরে মোটরসাইকেল চালিয়ে স্কুলে ঢুকছিলেন। এ সময় ছয়-সাত জনকে সঙ্গে নিয়ে সাবেক ছাত্র মুরাদ হোসেন তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। লাঠিসোঁটা নিয়ে ওত পেতে থাকা মুরাদরা বেধড়ক পেটান তাকে।
শিক্ষককে পেটানোর সময় মুরাদ বলতে থাকেন, ‘২০১৭ সালে তোর কারণে টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। তোর কারণে বিদ্যালয়ে থাকার সময় পরীক্ষায় নকল করতে পারিনি। আজ তোকে পাইছি।’ এসব বলে মুরাদ কিল-ঘুষি-লাথি মারতে থাকেন শিক্ষককে।
এ সময় শিক্ষকের মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করেন তারা।
একপর্যায়ে স্কুলের অন্য শিক্ষক ও স্থানীয়রা হেলাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হেলাল উদ্দিনের বাড়ি জেলা সদরের মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর এলাকায়। আর হামলায় অভিযুক্ত ছাত্র মুরাদ টুমচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
হাসপাতালে ভর্তি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘২০১৭ সালে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করার কারণে মুরাদ ফাইনালে অংশ নিতে পারেনি। ওই সময়ের অধ্যক্ষ তাকে সুযোগ দেননি। আমি কোনো অন্যায় করিনি। তারপরও মুরাদের নেতৃত্ব ছয়-সাত জন সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা চালায়। তারা আমার মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেছে।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মুরাদ হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘ছাত্র হয়ে শিক্ষকের ওপর এভাবে হামলা মেনে নেয়া যায় না। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
টুমচর আসাদ একাডেমির অধ্যক্ষ ফারজানা নুর বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। প্রাক্তন ছাত্র কীভাবে শিক্ষকের ওপর হামলা করে? আমরা সব শিক্ষক বসে আজই সিদ্ধান্ত নেব। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
সদর থানার ওসি মোস্তফা কামাল হামলার ঘটনা অবগত নন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’