বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ার নির্দেশ অধ্যক্ষের!

  •    
  • ২৭ মে, ২০২২ ০০:০০

আশ্রয় নেয়া রিজিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ঘরে এখনও পানি। বিছনা নাই, কিচ্ছু নাই, এখন ঘরে গিয়া ঘুমাইমু কীভাবে। আমরা চাই আরও কয়েকটা দিন থাকতাম। পানি কমি গেলে, একটু শুকাইলে, আমরা যাইমুগি।’

বন্যায় আশ্রয় নেয়া মানুষদের শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে বলার অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সদ্য নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ রজতকান্তি সোমের বিরুদ্ধে।

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা বলে এমন অভিযোগ মেলে।

ঘর এখনও বসবাসের উপযোগী না হওয়ার কারণে আশ্রয় নেয়া লোকজন আরও তিন থেকে চার দিন সময় চেয়েছেন।

সুনামগঞ্জের পৌর শহরের হাসন নগর এলাকায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্ন অঞ্চলের ৪০ পরিবার সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে আশ্রয় নেয়।

পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিবার চলে গেলেও অধিকাংশ মানুষজন এখনও রয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। তারা কলেজটির অডিটোরিয়াম ও ৪ নম্বর শ্রেণিকক্ষে রয়েছেন।

হাসন নগর এলাকার পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, ‘বাড়িতে কীভাবে যাব, আজকে শুধু পানি নেমেছে। মাটি ভেজা থাকায় পা দিলে হাঁটু পর্যন্ত ঢুকে যায়।

‘এখন শুনি প্রিন্সিপাল স্যারে এসে বলেছেন বের হয়ে যাওয়ার জন্য। শুক্রবার পর্যন্ত থাকতে পারমু। এখন বাসাত গিয়া বাচ্চাকাচ্চা নিয়া থাকা রিস্ক। চারদিকে পানি, তার মধ্যে সাপ আসার ভয়।’

আশ্রয় নেয়া রিজিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ঘরে এখনও পানি। বিছনা নাই, কিচ্ছু নাই, এখন ঘরে গিয়া ঘুমাইমু কীভাবে। আমরা চাই আরও কয়েকটা দিন থাকতাম। পানি কমি গেলে, একটু শুকাইলে, আমরা যাইমুগি।’

এসব অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রজতকান্তি সোম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা সত্য না। উনারা বন্যর্ত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

‘জেলা প্রশাসন ত্রাণ অফিসের মাধ্যমে কলেজ অডিটোরিয়াম ও ৪ নম্বর বড় শ্রেণিকক্ষে তাদের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আসল কথা হলো, আমরা তাদের আল্টিমেটাম দেয়ার কেউ না। আমরা তাদের কনভেন্স করার চেষ্টা করছি আপনারা বাড়িতে চলে যান, আমাদের শ্রেণিকক্ষ ও অডিটেরিয়ামের প্রয়োজন আছে।

‘তাদের কথা হলো পানি কমেছে, কিন্তু এখন ভিটেমাটি ভিজা রয়েছে গবাদি পশু নেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আমরা প্রতিনিয়ত কথা বলছি উনারা আমাকে বলেছেন শুক্রবার চলে যাবেন। তারা নিজেরাই চূড়ান্তভাবে বলেছেন শুক্রবার চলে যাবেন।’

অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘আমার তরফ থেকে রিকুয়েস্ট আছে। আমি কোনো চাপ দেইনি। কোনো আল্টিমেটাম দেইনি, তারা আমাদেরই দেশের মানুষ।’

এ বিভাগের আরো খবর