রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন আগামী ১৫ জুন। ২৬ মে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তবে এক দিন আগে বুধবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকবর হোসেন।
তিনি বর্তমানে আলেকজান্ডার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আকবরের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এখন মাঠে রয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম আব্বাছ, রিয়াজ হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবুল ফাতাহ।
রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলী বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আকবর হোসেন লিখিতভাবে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আকবর ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে তদবির করে ঢাকা থেকে মনোনয়ন এনেছেন। অথচ দুঃসময়ের নির্যাতিত নেতা আবু নাসেরের নাম তালিকার এক নম্বরে পাঠানো হলেও তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আকবরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের।
গত ৭ জানুয়ারি আলেকজান্ডার ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। এরপর ওই ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৫ জুন এই ইউনিয়নে উপনির্বাচন হবে।
তৃণমূল থেকে তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠায় উপজেলা আওয়ামী লীগ। তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসের, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, আলেকজান্ডার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন। তাদের মধ্যে আকবরকে মনোনয়ন দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন আকবর। সেখানে তিনি লেখেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপনির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। যারা রাতদিন কষ্ট করেছেন, তাদের কাছে আজীবন ঋণী থাকব। চিকিৎসার জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছি।’
আকবরের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা ওয়ার্ড পর্যায় থেকে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিয়েছি। হঠাৎ আকবর আমাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এটি দলের জন্য অমঙ্গল হবে।
‘আকবরের নাম তিন নম্বরে পাঠানো হলেও তদবির করে মনোনয়ন এনেছেন। বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হবে। তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’