বান্দরবান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক (ডিডি) মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর নামে ধর্ষণের মামলা করেছেন এক নারী।
তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে নেয়ার পর বিয়ে এড়িয়ে যান ডিডি। এ কারণে গত সোমবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার আবেদন করেন ওই নারী।
সেদিনই বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মামলা আমলে নিয়ে বান্দরবানের ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এসব তথ্য বুধবার জেলার সংবাদকর্মীরা জানতে পারেন। পরে বাদীর আইনজীবী দিপঙ্কর দাশ গুপ্ত তা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ডিডি নেয়ামতের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯(১) ধারা ও দণ্ডবিধির ৫০৬(২) ধারায় মামলা হয়েছে।
এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, অভিযোগকারী নারী বান্দরবান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইসলামিক মিশনের আওতায় সেলাই প্রশিক্ষক হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে চাকরি করছেন। ২০১৯ সালে ডিডি নেয়ামতের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে সময় ডিডি তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত তাদের এই সম্পর্ক চলে। পরে বিয়ের জন্য ওই নারী চাপ দিলে ডিডি অস্বীকৃতি জানান এবং বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণনাশ করা হবে বলে হুমকি দেন। নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই নারী মামলার সিদ্ধান্ত নেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডিডি নেয়ামত বলেন, ‘আমার কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মচারীর যোগসাজশে আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন করতে ওই নারী আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। যেহেতু মামলা হয়েছে, সেহেতু আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টি আদালতে নিস্পত্তি করা হবে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার কপি এখনও পাননি। হাতে পেলে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।