বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নওগাঁয় শুরু হয়েছে আম নামানোর ‘উৎসব’

  •    
  • ২৫ মে, ২০২২ ১৭:৫৬

জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে চাষিরা গুটি আম নামাতে শুরু করেছেন। এর মধ্য দিয়ে জেলায় আম নামানোর উৎসব শুরু হলো। তবে উন্নত জাতের আমগুলো নামানোর জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করলে ভালো হবে।’

নওগাঁয় চলতি মৌসুমে গুটিজাতের আম নামানো শুরু হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে বুধবার জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো আম কেনাবেচার ‘উৎসব’।

বাজারে নিরাপদ ও পরিপক্ব আম সরবরাহ নিশ্চিতে আগে থেকেই এই সূচি ঠিক করেছিল জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় জাতভেদে আম নামানোর সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়। সভায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়াও আমচাষি, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় গুটিজাতের আম নামানোর তারিখ ঠিক করা হয় ২৫ মে।

এ ছাড়া গোপালভোগ ৩০ মে ও ক্ষীরসাপাত বা হিমসাগর ৫ জুন, নাগ ফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ১২ জুন, ফজলি আম ২২ জুন ও আম্রপালি ২৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা, বারী-৪ ও গৌরমতি জাতের আম।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বাগানমালিক, ব্যবসায়ী, জেলা প্রশাসন সবার সঙ্গে আলোচনা করে আম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তারিখ অনুযায়ী আম সংগ্রহ করতে জেলাজুড়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। পরিপক্ব ও ক্ষতিকারক কেমিক্যালমুক্ত আম খাওয়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে চাষিরা গুটি আম নামাতে শুরু করেছেন। এর মধ্য দিয়ে জেলায় আম নামানোর উৎসব শুরু হলো।’

উন্নত জাতের আমগুলো নামানোর জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করলে ভালো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগে যদি কোনো বাগানের আম পেকে যায়, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে নওগাঁর আমের খুব সুনাম রয়েছে। এ জন্য কয়েক বছর থেকে আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আম পাকানো, সংরক্ষণ বা বাজারজাতে কেমিক্যালের ব্যবহার ঠেকাতে নজরদারি রয়েছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ টন। আশা করা হচ্ছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ টন আম উৎপাদন হবে। যার বিক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এর মধ্যে বিদেশে আম রপ্তানির জন্য কয়েকজন আমচাষিকে প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ আম প্রস্তুতের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। তাদের বাগান থেকেই আম ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, দুবাই, কাতার, সুইডেন ও ওমানে রপ্তানি করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর