অভিযোগ ছিল, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এক ঠিকাদারের কাছে ভাড়া দিয়ে নানা ধরনের নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। এতে ওই স্কুলসহ সংলগ্ন বান্ধাবাড়ি হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যায়। আর ইট ভাঙার বিরামহীন শব্দে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটতে থাকে।
বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদাউস ওয়াহিদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য করে তিন সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিউজবাংলার আগের প্রতিবেদনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য কামাল হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, নির্মাণসামগ্রী রাখতে ওই মাঠটি ৭ লাখ টাকায় ঠিকাদার মো. জসিমের কাছে ভাড়া দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের এক ছাত্র-অভিভাবক দাবি করেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হান্নান মোল্লা ও প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুর রশিদ ৭ লাখ টাকা নিয়েছেন।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকসহ ঠিকাদার জসিমও। তারা দাবি করেছেন, ৫০ হাজার টাকা এবং একটি সিসি ক্যামেরা বিদ্যালয়ে দেয়া হবে এই শর্তে মাত্র তিন মাসের জন্য নির্মাণসামগ্রীগুলো রাখা হয়েছে।
বর্তমানে বিদ্যালয়টির মাঠজুড়ে ইট, খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী দেখা গেছে। প্রতিদিনই বিকট শব্দ করে মেশিন দিয়ে ভাঙা হচ্ছে ইট। এতে পড়াশোনা ও খেলাধুলা দুদিকেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।