বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভিএম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে ইসি

  •    
  • ২৫ মে, ২০২২ ১১:৫৭

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন মহলের নানা ধরনের মত রয়েছে। সংসদের বাইরে থাকা প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি বরাবরই এই যন্ত্রের বিরোধিতা করে আসছে। এই ভোটযন্ত্র সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে বিস্তারিত জানতে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন মহলের নানা ধরনের মত রয়েছে। সংসদের বাইরে থাকা প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি বরাবরই এই যন্ত্রের বিরোধিতা করে আসছে। এই ভোটযন্ত্র সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর নিউজবাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমপক্ষে ১০০ আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, তবে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইভিএম বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় নাই।’

ইভিএম চ্যালেঞ্জ ছোড়ার সময় এখনও হয়নি বলেও জানান তিনি।

ইভিএমের ত্রুটি ধরতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলারের ঘোষণাও উদ্ভট বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বুধবারের সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. জাফর ইকবাল, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এম কায়কোবাদ, বুয়েটের মতিন সাদ আবদুল্লাহ, বুয়েটের ড. মো. মাহফুজুল ইসলাম, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অলোক কুমার সাহা, বিএমটিএফের পরিচালক মেজর জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন, সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, আইডিয়া-২ প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত রয়েছেন।

ইভিএম-সংশ্লিষ্ট ইসির আইটি দল, প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান পরিচালক, এনআইডি উইংয়ের সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নিয়ে প্রায় ৩০ জনকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, বিশেষজ্ঞরা দেখবেন, মতামত রাখবেন। ইসির আইটি বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন। তারা এ বিষয়ে মত দেবেন। ইভিএমের ওপর কমিশন তাদের মতামত নেবে।

বৈঠকে ইভিএম প্রদর্শনীর পাশাপাশি সার্বিক কারিগরি দিক তুলে ধরা হবে। এরপর যন্ত্রটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নেবে কমিশন।

দেশের নির্বাচনীব্যবস্থার দায়িত্ব পাওয়ার পর কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন এক মাসের মাথায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। ২৩ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল চার ধাপের সংলাপ হয়। সংলাপে ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে বেশ কিছু মতামত আসে।

ইভিএমের বিষয়ে মঙ্গলবার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা চার-পাঁচটি মিটিং করেছি। এখনও পুরোপুরি আস্থাভাজন হতে পারিনি। আরও মিটিং হবে। সেখানে পর্যালোচনা করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, ইভিএম নিয়ে সবার আস্থা অর্জন করতে চাই। কালকেও কারিগরি মিটিং হবে।

‘আরও কয়েকটি বৈঠকে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গঠিত এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট চালু করে। সে সময় যে যন্ত্রের মাধ্যমে ভোট নেয়া হতো, তাতে ত্রুটি দেখা দেয়।

পরে রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে কমিশন নতুন আরেকটি যন্ত্র নিয়ে আসে। আর বর্তমান কমিশনের আমলে ব্যবহার করা হচ্ছে আরেক ধরনের যন্ত্র।

সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা দামের বেশি উন্নত মেশিন তৈরি করে নিয়েছে এই কমিশন।

বর্তমানে ইসির কাছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে। এই যন্ত্রে দুটি ইউনিট। একটি নিয়ন্ত্রণ ইউনিট। আরেকটি ব্যালট ইউনিট। নিয়ন্ত্রণ ইউনিটে আঙুলের ছাপ মিললেই ব্যালট ইউনিটে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ব্যালট পেপার ওপেন হয়।

যাদের আঙুলের ছাপ মেলে না, তারা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সহায়তা নিয়ে ব্যালট ইউনিট ওপেন করে ভোট দিতে পারবেন, তবে মোট ভোটারের ১ শতাংশকে এই সুবিধা দিতে পারবেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর