বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পন্টুনের সামনে ‍উল্টে গেল লরি, যান চলাচলে ধীরগতি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ মে, ২০২২ ২১:৩৬

মাঝিরঘাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঘাট উঁচু করার সময় বালুবোঝাই লরি উল্টে সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ঘাটে থাকা রেকারের সাহায্যে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এখন ঘাটে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক আছে।’

পদ্মা নদীর পানি কিছুদিন ধরেই বাড়ছে। ফলে মাঝিরঘাট ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে থাকা সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘাটের সংযোগ সড়ক উঁচু করার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

শনিবার দুপুর থেকে এক নম্বর ঘাটের পন্টুনের সামনে থাকা সংযোগ সড়ক উঁচু করতে বালু ফেলার কাজ শুরু করা হয়।

ফেরির পন্টুন উঁচু করতে মাওয়া থেকে বিশেষ রেকার আনা হয় মাঝিরঘাট ফেরি ঘাটে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সংযোগ সড়কে বালু ফেলতে গিয়ে চাকা ফেঁসে সংযোগ সড়কে উল্টে যায় বালুবোঝাই একটি লরি।

এতে বন্ধ হয়ে যায় ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা। প্রায় ১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘাটে থাকা রেকারের সাহায্যে লরিটি উদ্ধার করা হলে ফেরিতে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক হয়।

শনিবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাঝিরঘাটের ঘাট সুপারিনটেনডেন্ট কামরুল হাসান।

মাঝিরঘাট বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মকর্তা জানান, মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌরুটে দিনে পাঁচটি ও রাতে ছয়টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করে। দিনের বেলায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল করলেও লরি উল্টে যাওয়ায় বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যায় ওই রুটে ফেরি চলাচল।

ফলে বিকেল থেকে রাজধানীমুখী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যানবাহনকে মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌরুটের ওপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমানে এই ঘাট দিয়ে দিনে পাঁচটি ও রাতে ছয়টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

১ ঘণ্টার বন্ধে ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। মাঝিরঘাট সড়ক থেকে পুনর্বাসন কেন্দ্র ও মাঝিরঘাট-শরীয়তপুর সড়কের দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন পদ্মা পার হতে আসা এই ঘাটের যাত্রী ও চালকরা।

বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে মাঝিরঘাটে আটকা পড়া সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। বিকেল পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে না পেরে সন্ধ্যার আগে মাঝিরঘাটে আসি। এখানে তীব্র যানজটে আটকা পড়েছি।

‘যানজট পেরিয়ে রাতে ফেরিতে উঠতে পারব কি না তা নিশ্চিত নয়। সকালে অফিসে পৌঁছতে না পারলে ক্ষতি হয়ে যাবে।’

মাঝিরঘাটের ব্যবসায়ী মো. ফেরদৌস বলেন, ‘বিকেল থেকে যানবাহনের চাপ বড়তে থাকে। তার ওপর এক নম্বর ঘাট উঁচু করতে গিয়ে লরি উল্টে ঘণ্টাখানেক ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা বন্ধ থাকে। ফলে ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়েছে।

‘এখানে পার্কিং ইয়ার্ড না থাকায় সড়কের ওপর এলোমেলোভাবে যানবাহন রাখায় যানজট আরও বেশি হয়। সম্পূর্ণ রাস্তা ব্লক হয়ে আছে, চলাচলের কোনো উপায় নেই।’

মাঝিরঘাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়মিত ফেরিঘাট উঁচু-নিচু করতে হয়। এ জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আজ ঘাট উঁচু করার সময় বালুবোঝাই লরি উল্টে সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল।

‘ঘাটে থাকা রেকারের সাহায্যে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এখন ঘাটে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার হওয়ায় ঘাটে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেশি। আশা করি, আগামীকাল দুপুরের মধ্যে ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর